চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
ম্যাপ উদ্বোধনে প্রশাসনিক ও পুলিস কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরা, ড্রোন সহ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বাঁশবেড়িয়া ও সংলগ্ন এলাকা। মহিলাদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দিয়েছে পুলিস। প্রশিক্ষিত মহিলা পুলিসের দল আলাদা করে মোতায়েন হচ্ছে। পুজো উদ্যোক্তাদের ভিড় সামাল দিতে মহিলা স্বেচ্ছাসেবক রাখতে বলা হয়েছে। ডিজে বাজানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। বাঁশবেড়িয়া এবং চুঁচুড়ার একাধিক রাস্তা সহ জলপথেও নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ভেসেল নামবে। হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘কার্তিক পুজোর উৎসব নির্বিঘ্নে মিটিয়ে ফেলতে যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দর্শকদের কোনও সমস্যা হবে না। শহরজুড়ে পুলিসের হেল্প ডেস্ক পর্যাপ্ত সংখ্যায় রাখা হচ্ছে।’ বাঁশবেড়িয়া কার্তিক উৎসবের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্তা আদিত্য নিয়োগী বলেন, ‘আমরা পুলিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সুষ্ঠুভাবে উৎসব পালনের কাজ করব।’
এ বছর পুজোতে থিমের রমরমা তো আছেই। পাশাপাশি বিশেষ ধরনের কিছু অনুষ্ঠান হবে। বেশ কিছু পুজো উদ্যোক্তা লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো করছে। যাত্রাপালা, নাটকের মত অনুষ্ঠানের আয়োজনও হচ্ছে। একটি পুজো কমিটি ‘ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ’ অনুষ্ঠান করবে। তা ঘিরে বিশেষ কৌতূহল সবার মধ্যে। আবার নানা রকমের মূর্ত, বিমূর্ত থিমের মণ্ডপ নির্মাণ ঘিরে আগ্রহ মানুষের মধ্যে। বাঁশবেড়িয়ার মিতালি সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপ এবার তৈরি হচ্ছে বাঁশের তৈরি জিনিস দিয়ে। একদা হুগলির সপ্তগ্রাম ছিল জনপ্রিয় বন্দর। সেই সাবেক বন্দর এবং বাণিজ্যের হাট সংস্কৃতিকে জুড়ে অতীত এবং বর্তমানের সমন্বয়ে মণ্ডপ নির্মাণ করা হচ্ছে কুণ্ডগুলি নটরাজ পুজোয়। চুঁচুড়ার দেব সেনাপতি কার্তিক এবার ২৫ বছরে পা দিয়েছে। সেখানে কাল্পনিক একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। হাজির থাকবেন বিরাট আকারের দেব সেনাপতি। এখন উৎসবমুখর বাঁশবেড়িয়া। এবার মানুষের ঢল পথে নামার অপেক্ষায়।