চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
হাওড়া জেলা হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ বলরাম সরকার ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে মেয়ের বিবাহ দেন। ১২ অক্টোবর মেয়ে অরুন্ধতী সরকার ও জামাই সুব্রত সেন বিয়ের সার্টিফিকেট পেতে হাওড়ার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন জানান। সরকারের নিয়ম মেনে নথিপত্র যাচাই, সাক্ষীদের বিস্তারিত বিবরণ, নবদম্পতির ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হয়। সেদিন আরও প্রায় পাঁচ দম্পতির রেজিস্ট্রি হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, রেজিস্ট্রির এক মাসের মধ্যে ম্যারেজ সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার কথা। কিন্তু সেই অক্টোবর মাস থেকে কোনও এক অজানা কারণে বন্ধ রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজের (আরজিএম) ওয়েবসাইটে লগ ইন প্রক্রিয়া। ফলে চরম দুর্ভোগে একাধিক নব বিবাহিত।
মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও সার্টিফিকেট না পেয়ে একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সুব্রত ও অরুন্ধতী। বেসরকারি সংস্থায় চাকরিসূত্রে দিল্লিতে রয়েছেন তাঁরা। সুব্রতবাবু বলেন, ‘ভবিষ্যতে বিদেশে যেতে হলে ভিসার আবেদন করতে হবে। ম্যারেজ সার্টিফিকেট হাতে না পেলে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারব না। দিল্লিতে ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।’
জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকেই ম্যারেজ সার্টিফিকেটের আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। সাইটে লগ ইন করার জন্য ওটিপি মারফত যে নতুন পাসওয়ার্ড দিতে হয়, সেটাও মেলেনি। সে সময় কয়েকজন দম্পতির ম্যারেজ সার্টিফিকেটের প্রায় নব্বই শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হলেও শেষ ধাপে তথ্যের ম্যানুয়াল এন্ট্রি সম্ভব হয়নি। তাই সার্টিফিকেটও আসেনি। পুরনো আবেদন প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে ফের ম্যারেজ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনও করতে পারছেন না সমস্যাদীর্ণ দম্পতিরা। বিষয়টি নিয়ে হাওড়া শহরের ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার সুকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘আরজিএম থেকে টেকনিক্যাল ত্রুটি না মেটালে এখান থেকে লগ ইন সম্ভব নয়। এই সমস্যা শুধু হাওড়ায় নয় গোটা রাজ্যেরই। সে কারণে নতুন করে দম্পতিরা এখানে এসে ম্যারেজ সার্টিফিকেটের আবেদন করতে পারছেন না। কিন্তু গত বছর অক্টোবর মাসে আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ করার পরও কেন দম্পতিরা সার্টিফিকেট হাতে পাননি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এক বছর আগেও মাত্র ৫০০ টাকায় সরকারি দপ্তরে গিয়ে বিয়ের সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারতেন দম্পতিরা। কিন্তু সেটা বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে বাধ্য হয়ে কয়েক গুণ অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে বেসরকারি ম্যারেজ রেজিস্ট্রি কনসালটেন্টদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে তাঁদের।