ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
‘দু’ঘণ্টার মধ্যে আপনার নামে যতগুলি ফোন নম্বর রয়েছে, সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদি তা আটকাতে চান, তাহলে ১ টিপুন।’
টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই) এবং টেলিকম দপ্তরের নাম করে শহরের বিভিন্ন গ্রাহককে এভাবে ফোন করা হচ্ছে। পুরোটাই আসলে প্রতারকদের সাজানো ফাঁদ! এভাবেই ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুটের নয়া কৌশল আমদানি করেছে প্রতারকরা। সম্প্রতি এরকম একাধিক ফোন কলের ঘটনা কলকাতা পুলিস জানতে পেরেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ এই ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ আসেনি তাদের কাছে। পুলিস জেনেছে, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা একাধিকবার এমন ফোন পেয়েছেন। সেই ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল। তবে কোনও মানুষ নয়, কম্পিউটারাইজড কণ্ঠস্বর শোনানো হয়। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ফোন কেটে দিয়েছেন তাঁরা।
এই প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিসের সাইবার বিভাগ জানাচ্ছে, ট্রাইয়ের তরফে কোনও গ্রাহককেই ফোন করা হয় না। তাদের নাম করে কোনও ফোন এলে তা নিশ্চিতভাবেই ভুয়ো। তাই প্রতারণার উদ্দেশে এই ফোন করা হচ্ছে বলে মনে করছেন সাইবার সেলের কর্তারা। পুলিস আরও জানাচ্ছে, টেলিকম ডিপার্টমেন্টের নামে ফোন করে যদি নম্বর ‘ব্লক’ করার কথা বলে, সেটাও সম্পূর্ণ ভুয়ো। কারণ, দীর্ঘদিন ফোনে রিচার্জ না করালে নম্বরের আউটগোয়িং ও ইনকামিং পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু নম্বর ‘ডিঅ্যাক্টিভেট’ হয় না।
বছরখানেক আগে টেলিকম সংস্থার নাম করে একাধিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে শহরে। লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি বড়সড় চক্র ফাঁস করেছিল কলকাতা পুলিস। এরপর থেকে লাগাতার সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে লালবাজার। এসব কারণে এ ধরনের প্রতারণা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে দাবি পুলিসকর্তাদের। তবে ফের একই ধরনের ভুয়ো ফোন আসতে থাকাটা চিন্তার বিষয় বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাই গ্রাহকদের সতর্ক এবং সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে তারা।