সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
ফলে গাছের নীচে ছোট্ট একটি তাঁবু। তার নীচে কোনওরকমে বসে হচ্ছে শিশুদের পড়াশোনা। গাছের নীচে রান্না হয় শিশুদের খাবার। পাশে বৃষ্টির জল জমে থাকে। গুচ্ছের পোকা-মাকড় ঘুরে বেড়ায়। ঘুরছে শয়ে শয়ে শুঁয়োপোকা। সেগুলি শিশুদের গায়ে উঠছে। ভয়ে অনেকেই বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। এভাবেই বনগাঁর গোপালনগর পোলতায় চলছে শিশুদের অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র। অভিভাবকদের বক্তব্য, ‘অনেকবার প্রশাসনকে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।’
বুধবার সকাল ১১টা। বনগাঁ-চাকদহ সড়কের পাশে পোলতায় গাছের নীচে শিশুদের জন্য রান্না করছিলেন কাজল বৈদ্য নামে এক বৃদ্ধা। অঙ্গনওয়ারির দিদিমণি আসেননি। পড়ুয়ারাও পৌঁছনি। অভিভাবকরা খাবার নেওয়ার পাত্র এনে রেখেছেন। পড়ুয়া কোথায়? প্রশ্ন শুনে উত্তরে বললেন, ‘এখানে বাচ্চাদের আনা যায়? সব জায়গায় পোকামাকড় ঘুরছে। শয়ে শয়ে শুঁয়োপোকা।’ সাহানা মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘দু’দিন আগে ছেলেটার গায়ে শুঁয়োপোকা লেগেছিল। ফুলে যায়। খুব কষ্ট পেয়েছে। এই জায়গায় কি করে বাচ্চাদের স্কুল চলে।’ অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের রাঁধুনি কাজল বৈদ্য বলেন, ‘আমার তো উপায় নেই। এভাবেই রান্না করতে হয়। বৃষ্টি হলে রান্না বন্ধ থাকে।’ নাতির হাত ধরে স্কুলে নিয়ে আসছিলেন ঠাকুমা। তাঁকে দেখে একজন বলে ওঠেন, ‘এর মধ্যে বসবে কি করে ও। চারদিকেই তো জল। শুঁয়োপোকা ঘুরছে।’ ঠাকুমা উত্তরে বলেন, ‘একটু বেলা হলেই স্কুলে আসার জন্য বায়না করে। কি করে বোঝাই যে বসার অবস্থা নেই।’ রফিকুল মালিতা নামে আর এক অভিভাবক বলেন, ‘নাতিকে স্কুলে নিয়ে আসতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কাদা জলের মধ্যে কি করে আনব।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘পোলতা অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে গাছের তলাতেই চলছে। প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। দেখেও দেখেন না আধিকারিকরা।’ ব্লক শিশু বিকাশ আধিকারিক অবশ্য বলেছেন, ‘পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা হয়েছে। অস্থায়ীভাবে হলেও দ্রুত সমাধান করা হবে।’