সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত ১৯৬২ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে চীন-ভারত কিংবা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বা পরে এই দেশে বসবাসকারী যে নাগরিকরা সম্পত্তি ছেড়ে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা কেউ সম্পত্তির দাবি না জানানোয় সেগুলি এনিমি প্রপার্টি ডিপার্টমেন্টের অধীনে চলে যায়। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় ৯০টিরও বেশি এনিমি প্রপার্টি রয়েছে। দেড় বছর ধরে তা সমীক্ষার কাজ চলছে। কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, তার পরিমাপ, বাজারমূল্য, কোন সম্পত্তি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, কোথায় বেআইনি নির্মাণ হয়েছে- সব উঠে এসেছে সমীক্ষায়। সমীক্ষার উদ্দেশ্য, এই সম্পত্তিগুলির কর কাঠামো নতুন করে মূল্যায়ন করে সেখানকার বাসিন্দাদের থেকে বাজার দরে ট্যাক্স আদায়। কলকাতায় সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি ও কলকাতার এনিমি প্রপার্টি ইনচার্জ বাপ্পাদিত্য দত্ত। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুর এলাকার ক্ষেত্রে স্যাফ বা সেলস অ্যাসেসমেন্ট অর্থাৎ সম্পত্তি করের স্ব-মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এই নতুন কর ধার্য করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৫০টি এমন সম্পত্তির ট্যাক্স মূল্যায়ন করে বাজার দরে কর ধার্য করাও হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, আগে যে সম্পত্তি থেকে মাসে ৫০ বা ৬০ টাকা করে কর মিলত, সেটা বেড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা হয়েছে। বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে, এমন শত্রু সম্পত্তির ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও ১০ গুণ বেশি সম্পত্তিকর ধার্য হয়েছে। কমপক্ষে তিনগুণ সম্পত্তিকর বেড়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে।
তবে পশ্চিমবঙ্গে চার হাজার ৩৫৪টি এনিমি প্রপার্টির কর কাঠামো এখনও নতুন করে মূল্যায়ন হয়নি। সরকারি দপ্তরের জটিলতার ফলে তা আটকে রয়েছে। এক আধিকারিক জানান, কলকাতায় সমীক্ষার কাজ সহজভাবে চলছে। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় কর কাঠামো ভিন্ন। যেমন সারা দেশের মধ্যে জেলার নিরিখে মুর্শিদাবাদে সর্বোচ্চ (প্রায় ১৭০০টি) এনিমি প্রপার্টি রয়েছে। সেখানে নবাবি এস্টেটের কর কাঠামো এখনও প্রযোজ্য। অন্যান্য পুরসভা এলাকা বা গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে জেলাশাসকের নির্দিষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। ফলে এগুলির ক্ষেত্রে ‘কেস টু কেস’ ভিত্তিতে ফাইল অনুমোদনের জন্য মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে।