সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত হাজার হাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এলাকায় নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেন। অন্যান্য বছর এই সময় কয়েক লক্ষ ক্রেতার ভিড় হয় এই দু’দিন। দম ফেলার ফুরসত পান না ব্যবসায়ীরা। এদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। তার উপর দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এতে পুজোর শেষ বাজার অনেকটাই মার খেয়েছে বলে দাবি মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের। এদিন বাড়তি লাভের আশায় প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসেছিলেন হোলসেল বিক্রেতারা। নীতীশ দত্ত, বিজয়া পাল, নির্মল গুছাইতের মতো রেডিমেড কাপড় ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেন, ‘মহালয়ার আগের সপ্তাহে সাধারণত জেলার গ্রামীণ এলাকার খুচরো ও পাইকারি দোকানদাররা মঙ্গলাহাটে ভিড় জমান। আমতা ও উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এবার তাঁরা আসতে পারেননি। বৃষ্টির মধ্যে এদিন যেটুকু কেনাবেচা হয়েছে, তা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটাই কম।’
ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, বড় বড় মল ও অনলাইন শপিংয়ের দাপটে আগের জৌলুস হারিয়েছে মঙ্গলাহাট। পাশাপাশি বর্তমানে অঙ্কুরহাটি ও মেটিয়াবুরুজের হোলসেল বাজার আড়ে-বহরে বেড়ে ওঠায় মঙ্গলাহাটের গুরুত্ব কমেছে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের জেরে এবছর ক্ষতি কয়েকগুণ বাড়লেও এদিনের বাজারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন ব্যবসায়ীদের অনেকেই। পসরার উপর প্লাস্টিক বিছিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় থাকলেও দিনের শেষে একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়েই বাড়ি ফিরলেন তাঁরা।