সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
২০১৫ সালের ২৮ মে ধনেখালি থানার অন্তর্গত পূর্ব রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁর ১৩ বছরের মেয়ে মামাবাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। একমাত্র মেয়ে হারিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েন বাবা। তিনি ধনেখালি থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে ধনেখালি থানার পুলিস হাওড়া জিআরপির সহায়তায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। পুলিসের কাছে সে জানায়, শেখ নিজামুদ্দিন নামের এক রেল হকার তাকে ফুসলিয়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে আটকে রাখে এবং যৌন নির্যাতন চালায়। কয়েকদিন পর নিজামুদ্দিন তাকে হাওড়াগামী একটি ট্রেনে তুলে দেয়। হাওড়ায় পৌঁছে দিশাহারা হয়ে পড়ে সে। হাওড়া জিআরপি তাকে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করতে দেখে নিজেদের অফিসে নিয়ে যায়। তারপর ধনেখালি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটিকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। ধনেখালি থানার তদন্তকারী অফিসার শুভজিৎ ঘোষাল নাবালিকা ও তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন। এরপর সোর্স মারফত অভিযুক্ত রেল হকার নিজামুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন চুঁচুড়ার বিশেষ পসকো আদালতে অভিযুক্তকে হাজির করানো হয়। অপহরণ এবং পকসো মামলায় আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। বিচারক আসামিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। সেই টাকা নির্যাতিতার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিসি তৎপরতায় নাবালিকাকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে সাজা দেওয়ার ঘটনায় হুগলি জেলা পুলিসের প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ।