শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৯ সালের ৪ নভেম্বর বনগাঁর মতিগঞ্জের বাসিন্দা সূর্যশঙ্কর রায়চৌধুরি খুন হন। তাঁর দেহ পরের দিন স্থানীয় জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় সূর্যবাবুর ভাই সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরি বনগাঁ থানায় দেবদাস মণ্ডল সহ মোট আটজনের নামে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ২০১৬ সালে এই মামলার রেকর্ড লোপাট হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর ফলে ২০১৬ সাল থেকে এই মামলা আদালতে ওঠেনি।
এরপর সৌমেন্দুবাবু বনগাঁ আদালতের এসিজেএমের কাছে গত জুলাই মাসে শেষে মামলার রেকর্ড লোপাট হওয়ার অভিযোগ করেন। এসিজেএম কোর্টের জিআরওকে ওই কেসের যাবতীয় নথি ও রেকর্ড ২০ আগস্টের মধ্যে জমা দিতে বলেন। কিন্তু পুলিস ওই কেসের কোনও নথি আদালতে জমা দিতে পারেনি। এরপর বেশ কিছুদিন আগে সৌমেন্দ্রবাবু এই ঘটনার কথা পুঙ্খনাপুঙ্খ বিবরণ লিখে মুখ্যমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, কলকাতা আদালতের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠান। চিঠিতে দাদার খুনিদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়া রাজ্য পুলিসের ডিজির কাছে চিঠি দিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিস কর্মীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তির দাবি জানান।
মৃতের ভাইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে বনগাঁ মহকুমা আদালতের এসিজেএমের এজলাসে এই মামলার নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল। এদিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল সহ সাত জন। বাকি অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে সঞ্জয় দত্ত মারা গিয়েছে। হরেকৃষ্ণ পাত্র ও জীবনকৃষ্ণ পাত্র গরহাজির ছিল। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।
এই মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী সমীর দাস বলেন, মৃতের ভাইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে নতুন করে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল। রেকর্ডপত্র তৈরি করছে পুলিস। এদিন দেবদাস মণ্ডল সহ সাত জন উপস্থিত ছিলেন। গরহাজির দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।