দেশ

সরকারের মুখপাত্র ধনকার, অনাস্থায় দাবি বিরোধীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ব্যক্তিগত ক্ষোভবিক্ষোভের কারণে নয়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভারতের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকেই ধ্বংস করছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব বিরোধীরা বাধ্য হয়ে এনেছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান কিংবা লোকসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে এহেন বিস্ফোরক অভিযোগ নজিরবিহীন। বুধবার ঠিক এই ভাষাতেই বিবৃতি দিল ইন্ডিয়া জোট। রাজ্যসভার বিরোধীদের পক্ষ থেকে বুধবার বিকেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, জগদীপ ধনকারের মতো এরকম চেয়ারম্যান স্বাধীন ভারতে কোনওদিন দেখা যায়নি। একটা ন্যুনতম নিরপেক্ষতা দেখাতেন পূর্বতন চেয়ারম্যানরা। বর্তমান চেয়ারম্যান স্রেফ সরকারের মুখপাত্র। 
খাড়্গে বলেন, বিরোধীদের বলার সময় উনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দিয়ে নিজের বাণী বিতরণ করেন। বিরোধী এমপির বলা সময় সেই এমপি যদি ৫ মিনিট বলেন, তাঁকে থামিয়ে চেয়ারম্যান ১০ মিনিট আবার নিজের ভাষণ দিতে শুরু করেন। সরকারের মুখপাত্র হওয়ার পাশাপাশি তাঁর শুধু অজুহাত চাই, কখন প্রধানমন্ত্রীর জয়গান করবেন। প্রকা঩শ্যে সভা চলাকালীন চেয়ারম্যান সুযোগ পেলেই প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা শুরু করেন। খাড়্গে বলেন, চেয়ারম্যান জানেন না যে, এখানে ৪০ কিংবা ৫০ বছর ধরে সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত এরকম এমপিরা আছেন। অথচ তাঁদের তিনি নিজের ক্লাসের ছাত্র ভাবেন। নিজেকে মনে করেন প্রধান শিক্ষক। তারপর শুরু হয় উপদেশ এবং পরামর্শ দেওয়া। প্রসঙ্গত রাজ্যসভার চেয়ারম্যনের সঙ্গে সংঘাত আগেও হয়েছে বিরোধীদের। কিন্তু এরকম তিক্ততা আগে হয়নি। বিরোধীদের বক্তব্য, আজ পর্যন্ত কোনওদিন এরকম ঘটেনি যে, সংসদের সভার কাজ যাতে হই-হট্টগোলে বন্ধ হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে কোনও সভাপতি নিজেই হাত দিয়ে সরকারপক্ষকে প্ররোচনা দিচ্ছেন উঠে দাঁড়িয়ে হইচই করতে। বর্তমান চেয়ারম্যান ঠিক তাই করেন। 
এদিকে বিরোধীদের উদ্যোগে ক্ষুব্ধ সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বললেন, বিরোধীদের সাংসদ হওয়ার যোগ্যতাই নেই। সাংসদ হওয়ার কোনও অধিকারও নেই। যারা চেয়ারম্যানের কুর্সিকে অপমান করেন, এ ধরনের অনাস্থার উদ্যোগ নিয়ে সংসদের গরিমা নষ্ট করেন, তাঁদের সাংসদ হওয়ার কোনও অধিকার নেই। ৭২ বছরের ইতিহাসে এরকম হয়নি। রিজিজুর এই মন্ত঩ব্যেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিরোধীরা। তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনছে তৃণমূল।
সংখ্যার বিচারে এই অনাস্থা প্রস্তাব জয়ী হবে না। সেটা বিরোধীরা জানে। কিন্তু তারা চাইছে কঠোর বার্তা এবং সংঘাতের কথা স্পষ্ট করতে। সাধারণ নিয়মে ১৪ দিনের একটি সময়সীমা রাখতে হয় অনাস্থা আবেদন নিয়ে বিবেচনা এবং  সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য। তাই এই অধিবেশনে সেই সময় না থকায় নোটিস হয়তো গ্রহণ করা হবে না। যদিও সংসদীয় রীতি অনুযায়ী রাজ্য‌সভায় দাখিল হওয়া এই আবেদন আগামী বছরের বাজেট অধিবেশনেও সমানভাবে বৈধ থাকবে। সুতরাং ইস্যু থাকবে জীবন্ত। কিন্তু বিরোধী বনাম চেয়ারম্যানের এই প্রবল তিক্ততা ও সংঘাতের আবহে আগামী সপ্তাহে সংবিধান নিয়ে আলোচনা কি আদৌ হবে? সবথেকে বড় প্রশ্ন এটাই। 
8h 8m ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় দিনটি শুভ। খাদ্য দ্রব্যের ব্যবসায় অগ্রগতির যোগ। ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তারদের পেশার উন্নতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.০৩ টাকা৮৫.৭৭ টাকা
পাউন্ড১০৬.৫৯ টাকা১১০.৩৫ টাকা
ইউরো৮৭.৭৩ টাকা৯১.০৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা