দেশ

সঙ্ঘের চাপ, শরিক অজিতকেই ছেঁটে ফেলতে চলেছে বিজেপি?

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ওয়াশিং মেশিন ফর্মুলা আর চলবে না। ক্রুদ্ধ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। মহারাষ্ট্রে বিজেপির শোচনীয় ফলাফলের পর দুর্নীতির সঙ্গে আপসকেই দায়ী করছে সঙ্ঘ। মুখপত্র অর্গানাইজারে লেখা হয়েছে যে, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে জোট করা ভুল হয়েছে। বিজেপির নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তাও দেওয়া হয়েছে যে, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জানা যাচ্ছে, বিজেপি আগামী দিনে অজিত পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই দলের অন্দরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। অসন্তোষের কারণ, অজিত পাওয়ারকে কাছে টেনে দলের ভাবমূর্তিকে এভাবে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নষ্ট করে দিল। ২০১৯ সালে বিজেপি পেয়েছিল ২৩ আসন। আর এবার মাত্র ৯। শারদ পাওয়ারের দল ভেঙে, উদ্ধব থ্যাকারের দল ভেঙে, প্রতীক পর্যন্ত কেড়ে নিয়ে কোনও লাভই হয়নি বিজেপির। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এই দলভাঙার রাজনীতিকে। বরং এই সুযোগে কংগ্রেসের উদয় হল মহারাষ্ট্রে। বৃহত্তম দল কংগ্রেস। সঙ্ঘ মনে করছে, এর অন্যতম কারণ হল বিজেপি দুর্নীতির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে এনডিএ জোটে অজিত পাওয়ারকে যাতে রাখা না হয়, সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র বিজেপিও সঙ্ঘের এই অভিমতকেই সমর্থন করছে। তাই এখন থেকেই মহারাষ্ট্রে প্রবল জল্পনা চলছে, যেকোনও সময় অজিত পাওয়ারকে জোট থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। 
আরএসএসের এই প্রকাশ্য মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অজিত পাওয়ারের দল। মুখপাত্র উন্মেষ পাতিল বলেছেন, আমাদের দল এই বার্তা সমর্থন করে না। মনে হয় না আরএসএস যা বলছে, সেটায় কোনও সত্যতা আছে। মহারাষ্ট্রের ফলপ্রকাশের পর এনডিএ সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। কেন এরকম ফলাফল হল, সেটা নিয়ে আলোচনার জন্য। সেই কমিটিতে আরএসএস সদস্যও আছেন। কিন্তু আলোচনায় কখনও বলা হয়নি যে, এনডিএ জোটের পরাজয়ের জন্য‌ আমাদের দল দায়ী। সকলকেই দায় নিতে হবে এরকমই বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উন্মেষ পাতিল আরও বলেন, জোট থাকা নিয়ে এরকম বাতাসে খবর ভাসিয়ে দেওয়া উচিত না। বিজেপি অথবা আরএসএসের উচিত এখনই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া। নয়তো বিরোধীরা সুযোগ নেবে। কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক যে তিক্ত হয়েছে এটা বুঝতে পেরে অজিত পাওয়ার কোনও একটা পথ খুঁজছেন বলে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সঙ্ঘ শুধুই মহারাষ্ট্র সম্পর্কে নয়। সামগ্রিকভাবে বিজেপি নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছে যে, দুর্নীতির দাগ আছে, এরকম কোনও বিরোধী নেতাকে যেন দলে টেনে নেওয়া না হয়। বিজেপি এভাবে ক্রমেই আর পাঁচটা পার্টির মতোই হয়ে যাচ্ছে। কোনও পার্থক্য নেই। এদিকে মহারাষ্ট্রের এই গোটা টানাপোড়েন নিয়ে আদতে কাঠগড়ায় যে নরেন্দ্র মোদিই, সেই চর্চাই দলে চলছে। কারণ, অজিত পাওয়ারের সেচ সংক্রান্ত একঝাঁক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মোদি নিজেই মহারাষ্ট্রে গিয়ে বলেছিলেন যে, ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিবাজকে জেলে পাঠাব আমরা। তার ঠিক পরেই অজিত পাওয়ারকে কাছে টেনে নেয় বিজেপি। এবং সব তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। যা নিয়েই ক্ষুব্ধ সঙ্ঘ। 
4d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭৩ টাকা৮৪.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২১ টাকা১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো৮৮.০৭ টাকা৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
16th     June,   2024
দিন পঞ্জিকা