দক্ষিণবঙ্গ

পৌষমেলায় পর্যাপ্ত জলের জোগান নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ

সংবাদদাতা, বোলপুর: বিশ্বভারতীর তিনটি বড় জলাশয় ঢেকেছে কচুরিপানায়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় জলাশয়গুলি কার্যত  মজে গিয়েছে। অথচ আসন্ন পৌষমেলায় পর্যাপ্ত জলের দরকার। তাই ব্যবহারিক জলের ঘাটতি মেটাতে সেই পুকুরগুলি খনন ও সংস্কার জরুরি। তবে এই অল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সেই কাজ একেবারেই করা সম্ভব নয়। ‌সেজন্য পৌষমেলা সংক্রান্ত প্রশাসনিক বৈঠকে জলাশয়গুলিকে আগের অবস্থায় ফেরানোর জন্য প্রশাসনকে আর্জি জানানো হবে। বৃহস্পতিবার ‘বর্তমান’কে এ কথা জানালেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সরেন ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার। এমতাবস্থায়, প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্বভারতী। যদিও জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও জেলার লোকসংস্কৃতি বজায় রাখতে সামর্থ্য অনুযায়ী কার্যকর করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে প্রশাসন। 
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিস্তীর্ণ ক্যাম্পাস রয়েছে তা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার বাড়ি থেকে পেয়েছিলেন।‌ ১৮৮৮ সালে তৈরি মহর্ষির ডিড অনুযায়ী এই সম্পত্তি কেউ অধিগ্রহণ করতে পারবে না। প্রথম থেকেই এই সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। পরবর্তীকালে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজের অধিকারে নিয়েছে।‌ ভুবনডাঙা ও শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লি লাগোয়া যে তিনটি বিশাল জলাশয় রয়েছে তারমধ্যে স্থানীয়দের কাছে দু’টি জলাশয় পরিচিত বড়বাঁধ ও লালবাঁধ নামে। এগুলিও বিশ্বভারতীর অধীনে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে এগুলি একটাই জলাশয় ছিল। যা রায়পুরের জমিদার ভুবনমোহন সিংহের নামে ভুবনসাগর বলে পরিচিত ছিল। একটা সময় পর্যন্ত সেই জলাশয়গুলিকে মাছ চাষের ইজারা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রচুর অর্থও উপার্জন করেছে। কিন্তু, কয়েক বছর আগে স্থানীয় এক ইজারাদার মাছ চাষের জন্য সেই জলাশয়গুলির লিজের পুনর্নবীকরণ করেননি। তারপর থেকেই সেগুলি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, যেকোনও বড় মেলা সাগর, নদী বা জলাশয়ের পাড়ে আয়োজিত হয়। বর্তমানে জলাশয়গুলির যা অবস্থা, তাতে অতি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। ‌কারণ কয়েকটি মাত্র জলের ট্যাপ দিয়ে পৌষমেলা আয়োজন সম্ভব নয়, যেখানে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। এমনটা হলে জলের জন্য হাহাকার পরে যাবে। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রশাসনিক বৈঠকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়বাবুও ট্রাস্টের সম্পাদকের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।‌ তিনি বলেন, পৌষমেলার মতো বিরাট কর্মযজ্ঞে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, ব্যবহারিক ও পানীয় জলের খুব দরকার। তাই স্বল্প সময়ে জলাশয়গুলি সংস্কার করা যায় কী না, সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আর্জি জানাব। আমাদের প্রস্তাব গৃহীত হলে জলাশয় সংলগ্ন স্থানীয় মানুষজনও পরবর্তীতে উপকৃত হবেন। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, বিশ্বভারতী এখনও এ বিষয়ে প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। জানালে, প্রশাসনের যা যা করণীয় সেগুলি আন্তরিকতার সাথে করবে।
13h 13m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৯ টাকা৮৫.৩৩ টাকা
পাউন্ড১০৫.০৬ টাকা১০৮.৭৯ টাকা
ইউরো৮৭.৪৫ টাকা৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা