পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
বিয়ের মরশুম চলছে। এখন এমন শাল চাই যা শীত ফ্যাশনে মানানসই। শাল বা স্টোলে একটু জমকালো লুক চাইলে চোখ রাখুন সুতোর কাজে। কাশ্মীরির পাশাপাশি কাঁথা, আড়ি ও গুজরাতি কাজের শালও এখন অনেকেই পছন্দ করছেন।
কাঁথাকাজের শাল ও স্টোলের নকশায় স্ট্রাইপ এবং ফ্লোরাল ডিজাইন চলছে এখন, জানালেন সুশ্রী বুটিকের কর্ণধার সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। একটু নরম ও হাল্কা স্টোলে নানা ধরনের সুতোর কাজেরও চাহিদা প্রচুর। অনেক ক্ষেত্রে আবার মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ ডিজাইনও চলছে। অর্থাৎ চেক কাপড়ের স্টোলের সঙ্গে কাঁথাকাজ করা পাড় বসানো বা সেমি পশমিনা স্টোলের উপর সুতোর কাজ করা অ্যাপলিক। কিছু ক্ষেত্রে পাড়ে ভরাট কাজ আর গায়ে হাল্কা বুটিও সেলাই করা হয়। কাশ্মীরি স্টিচ করা হলে পাড়ের দিকেই কাজের আধিক্য লক্ষ করা যায়। একটু আভিজাত লুক চাইলে সাদা বা গ্রে-এর উপর একই রঙের সুতোর কাজ পাবেন। প্রমাণ সাইজের শালের সারা গায়ে তেরছা করে সুতোর কাজও খুবই ইন। সুতোর কাজের পরিমাণ অনুযায়ী দামের হেরফের হয়।
অনলাইন বুটিক শ্রীময়ীর অন্যতম কর্ণধার পায়েল ভট্টাচার্য জানালেন, শাল ও স্টোলে ভরাট কাজেরই বেশি চাহিদা এখন। সুতোর কাজের মধ্যে কাঁথা কাজ বেশি চাইছেন আধুনিকারা। অনেকে আবার আড়ি ও গুজরাতি কাজও চাইছেন শালের পাড়ে এবং গায়ে। সেমি পশমিনা
হলে স্টোলের দাম মোটামুটি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। শালের ক্ষেত্রে এখানে দুই ধরনের ফ্যাব্রিক পাওয়া যাচ্ছে। উল আর সেমি পশমিনা। উলের শালে ভরাট কাঁথা কাজ আর স্টোলে পাড়ের কাছে কাজ থাকছে।
ঐশানী’স অনলাইন বুটিকের কর্ণধার ঐশানী রায় জানালেন তাঁর কালেকশনে সেমি পশমিনা স্টোল ও শাল দুই-ই পাওয়া যাচ্ছে। শাল বা স্টোলের নকশায় কনট্রাস্ট কাজ এখন সকলেরই পছন্দ। মেরুন, কালো, শ্লেট, অলিভ গ্রিন, লেমন ইয়েলো রঙের উপর সাদা, ক্রিম, অরেঞ্জ, তুঁতে, লাল ইত্যাদি সুতোর কাঁথা কাজের চাহিদা এই মুহূর্তে তুঙ্গে, জানালেন তিনি। এখনকার আধুনিকারা আরামদায়ক পোশাক পছন্দ করেন। সেই অনুযায়ী সেমি পশমিনা শাল এবং স্টোলের চাহিদাই বেশি। হাল্কা হলে তা নিতেও সুবিধে হয়। ভরাট কাজ, পাড়ে কাজ বা গায়ে বুটি— নকশা যেমনই হোক, দাম মোটামুটি ১২০০ টাকা থেকে শুরু। কাজের ধরন ও ঘনত্বের উপর নির্ভর করে দাম ওঠানামা করে।