Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। মুখে যাই বলা হোক না কেন, কার্যক্ষেত্রে তা সীমায়িত থাকে একটি সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী বা নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবস, গান্ধী জয়ন্তীর মতো জাতীয় উৎসবগুলিতে তেমন কোনও গণ্ডি থাকে না। গোটা দেশজুড়েই এগুলির ব্যাপ্তি। ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, সম্প্রদায়, আঞ্চলিকতার বেড়া ডিঙিয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত তা গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়। লোকসভা ভোট বা সাধারণ নির্বাচনপর্বও সেরকমই।
আর ক’দিন বাদেই এবারের সাত দফার ভোটগ্রহণপর্বের প্রথম দফা শুরু হয়ে যাবে। ভোটকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে পড়েছে। ভোটারদের মন টানতে দৃশ্য ও আপাত অদৃশ্য হরেকরকম কৌশলের তরবারিতে শান দেওয়া ও ব্যবহারের কাজ এখন পুরোমাত্রায় চলছে। ভোটের জন্য প্রচারের প্রসঙ্গ এলে আগ্রার ভঁপু চক্রবর্তীর কথা মনে পড়ে যায়। ভঁপুবাবুর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। সেবার উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোট কভার করতে গিয়ে তখন ওই রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বেড়াচ্ছি। এভাবেই একদিন আগ্রায় পৌঁছেছিলাম। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এক হোটেল মালিকই বললেন, ভঁপু চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাপ করুন। এখানকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেট। ভালো ফাইট দেবেন। জেতার সম্ভাবনাও রয়েছে।
নামটি শুনে বিস্মিত হয়েছিলাম। ভঁপু চক্রবর্তী! চক্রবর্তী পদবি শুনে মনে হল বাঙালি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু ভঁপু? কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে ঠিকানা খুঁজে হাজির হলাম তাঁর ডেরায়। আলাপ হল। হ্যাঁ, বাঙালিই বটে। পেশায় আইনজীবী। নেশায় ভোট-লড়িয়ে। প্রায় প্রতিটি ভোটেই প্রার্থী হন। তাঁর প্রচারের ধরনটি অদ্ভুত। সম্ভবত ওই কারণটিই তাঁকে বিশেষ পরিচিতি দিয়েছে। বললেন, অন্য নেতারা বলেন—নিজের ভোট নিজে দিন। আমার মন্ত্র— নিজের প্রচার নিজে করুন। বলা যায় ওয়ান ম্যান পার্টি। নিজেই প্রার্থী, নিজেই কর্মী, নিজেই প্রচারক। অনেকটা বাংলা সাংবাদিকতার কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব দাদাঠাকুর ওরফে শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের মতো। যিনি নিজেই সংবাদ সংগ্রহ করতেন, নিজের হাতেই তা প্রেসে ছাপাতেন। আবার, নিজেই ঘুরে ঘুরে সেই পত্রিকা বিক্রি করতেন। আগ্রার ভঁপুবাবুও একটা ফোল্ডিং মই কাঁধে নিজের জন্য ভোটপ্রচারে বেরিয়ে পড়েন। হাতে থাকে বিরাট একটা বিউগল। হিন্দিতে যা ভঁপু বলে পরিচিত। রাস্তার মোড়ে বা বাজারের মাঝে কাঁধের মই নামিয়ে তার উপর চড়ে খানিকক্ষণ তারস্বরে ভঁপুটি বাজাতে থাকেন। লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তখন বক্তৃতা শুরু করেন। কেন তাঁকেই ভোট দেওয়া জরুরি তা ব্যাখ্যা করে তবেই মই থেকে নামেন। জড়ো হওয়া লোকজনের হাতে লিফলেট ধরিয়ে ফের কাঁধে তুলে নেন মইটি। হনহন করে হাঁটা দেন পরবর্তী গন্তব্যের দিকে। পিতৃপ্রদত্ত নাম ভবতোষ হলেও প্রচারসঙ্গী ভঁপুর কারণেই গোটা আগ্রা শহর ও আশপাশের মানুষ তাঁকে ভঁপু চক্রবর্তী বলেই চিনতেন। আগের পুরভোটে জিতেছিলেন। তখন আগ্রা মিউনিসিপ্যালিটির কাউন্সিলার।
ভোটপ্রচারের কথা বলতে গিয়ে ওই রাজ্যেরই আরও কয়েকটি ঘটনা মনে পড়ছে। একবার একদিন সকালে আলিগড়ের রাস্তায় একটা হাতি দেখলাম। আপন মনে ঘুরে বেড়ানো ধূসররঙা ঐরাবতের বিস্তৃত পেটজুড়ে সাদা অক্ষরে এক ভোটপ্রার্থীর নাম লেখা। সঙ্গে আবেদন ‘এই চিহ্নে ভোট দিন’। বলা বাহুল্য, প্রার্থীর দলের নাম বহুজন সমাজ পার্টি। নির্বাচনী প্রতীক হাতি। সেবার এটাওয়া কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন মুলায়ন সিং যাদব। তাঁর এলাকায় গিয়ে চোখে পড়ল সবুজ-লাল প্যাকেটে গুটখার ছড়াছড়ি। চা বা পানের দোকানগুলিতে তো বটেই, ছোটখাটো মাঝারি প্রায় সমস্ত মনোহারি, মুদিখানা দোকানেই মাত্র এক টাকায় ওই হঠাৎ আমদানি গুটখার রাশি রাশি প্যাকেট ঝুলছে। খালি হওয়ার পর ফেলে দেওয়া হাজার হাজার প্যাকেট রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। যেদিকেই তাকাই সবুজ-লালের ছড়াছড়ি। বাজারের অন্য গুটখার দাম তখন দু’টাকা। অর্ধেক দামে নতুন আমদানি গুটখায় প্রচুর মানুষ মজেছেন। তাও শুনলাম, দোকানদারদের নাকি আগাম দামও মেটাতে হয়নি। কে বা কারা অযাচিতভাবেই হাজার হাজার ‘হর-লাল’ সাপ্লাই করে যাচ্ছে। বিক্রি করার পরও দাম মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আদায় করা হয়নি। ফলে দোকানদার মনের আনন্দে অন্য সব ব্রান্ডের গুটখা সরিয়ে রেখে কেবল ‘হর-লাল’ বেচাতেই জোর দিয়েছেন।
স্থানীয় এক প্রবীণ সাংবাদিকই ব্যাপারটা খোলসা করে দিলেন। বললেন, জানেন তো মুলায়মের দলের ঝান্ডার রং সবুজ-লাল! ভোটারদের মনে সুকৌশলে সমাজবাদী পার্টির বিষয়টি গেঁথে দেওয়া আর কী! একবার ভোটের মুখে আগ্রা ফোর্টের সামনে এক ভাগ্যগণককে দেখেছিলাম। টিকিধারী গণক। সামনে খাঁচায় একটা টিয়াপাখি। ভোটের ফলও নাকি আগাম বলে দিচ্ছিলেন ওই ভবিষ্যৎবক্তা। না না। ভুল হল। বলছিল সেই টিয়াপাখিটা। সামনে রাখা কাগজের একগুচ্ছ খাম। খামের মধ্যে ভাগ্যফল লেখা। খাঁচার দরজা খুলে দিলে পাখি ঠোঁটে একটা করে খাম তুলে আনছে। তাতেই নাকি লেখা ভোটের আগাম ফলাফল। বিভিন্ন দলের উৎসাহী নেতা-কর্মীদের অনেকেই মাত্র এক টাকায় দলের ভাগ্য জানতে ওখানে ভিড় করছিলেন। ব্যাপারটা দেখে আমি খুব মজা পেয়েছিলাম।
একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশন অবসরগ্রহণের পর ১৯৯৯ সালে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। গুজরাতের গান্ধীনগর কেন্দ্রে। কংগ্রেসের টিকিটে। বিপরীতে বিজেপি’র লালকৃষ্ণ আদবানি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আগের ক’টা বছর সেশন দেশজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁর নিত্যনূতন হুঙ্কারে, হরেকরকম ফরমানে ভোটের মুখে রাজনৈতিক দলগুলির থরহরিকম্প অবস্থা। বিরক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তো একবার বলেই ফেললেন, লোকটা ‘মেগালোম্যানিয়াক’। তা সেই টি এন সেশনকে একদিন দেখলাম নিজের জন্য ভোটপ্রার্থনায় বেরিয়ে গান্ধীনগরের একটি হরিজনপল্লিতে খালি পায়ে হাঁটছেন। পরনে দুধসাদা পাজামা-পাঞ্জাবি, কপালে সিঁদুরের টিপ। খালি পা। খালি পায়ে কেন? কারণ কী? শুনলাম, ওই মহল্লার লোকজন নাকি কোন এক সংস্কারের বশে জুতো পরেন না। তাই তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে রাশভারী সেশন সাহেবও ওই এলাকায় খালি পায়েই দরজায় দরজায় দাঁড়াচ্ছেন। এটাও তো ভোটারদের প্রভাবিত করারই চেষ্টা। কারণ, প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিজেও যে তখন নেহাতই একজন ভোটপ্রার্থী! বিহারের লালুপ্রসাদ যাদবকে আবার দেখতাম একেকটি ভোটে একেকরকমের প্রচারকৌশলের সাহায্য নিতে। বক্ততায় নানান চটকদার বুলি আওড়ানোয় একসময় দেশে লালুপ্রসাদের জুড়ি মেলা ভার ছিল। প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় যেমন বর্ণময়, বক্তৃতাতেও তাই। একবার পাটনার একটি প্রধান সড়কের নাম করে বললেন, এই সড়কটির অবস্থা এখন অমুক অভিনেতার গালের মতো এবড়ো খেবড়ো। আমাদের ভোট দিয়ে জেতান। দেখবেন, এই সড়ক অমুক অভিনেত্রীর গালের মতো মসৃণ হয়ে যাবে।
যে দুই অভিনেতা অভিনেত্রীর নাম উল্লেখ করেছিলেন লালু, তাঁরা দুজনেই হিন্দি সিনেমায় একসময় দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। একজন তো এখন বিদায়ী সাংসদ। এবারও ভোটপ্রার্থী। একবার ভোটের প্রচারে লালুপ্রসাদের দল একঝাঁক সুন্দরী যুবতীকে একই ধরনের পোশাক পরিয়ে একটি নৌকার সওয়ারি করে দিয়েছিল। নৌকায় ভরে দেওয়া হয়েছিল কলসি কলসি সরবত। নৌকার বিভিন্ন অংশে নানা আকারের হ্যারিকেন টাঙানো। হ্যারিকেন হল লালুপ্রসাদের দলের নির্বাচনী প্রতীক। নৌকা ভিড়ছিল গঙ্গার তীরবর্তী বিভিন্ন গঞ্জের ঘাটে ঘাটে। উপস্থিত জনতার মধ্যে বিলি করা হচ্ছিল সেই সরবত। সুন্দরীদের হাত থেকে সরবতের গ্লাস নিতে সে কী হুড়োহুড়ি! কে সরবত খাওয়াচ্ছে? লালুজির দল। ব্যাস। দারুণ কায়দায় ভোটের প্রচার হয়ে গেল। আর একবার লোকসভা ভোটের মুখে লালুপ্রসাদের নির্বাচনী প্রচারসভার খবর করতে আরায় গিয়েছিলাম। পাটনা থেকে ওই এলাকাটা ঘণ্টা দুয়েকের পথ। সভায় বিপুল ভিড়। আকাশে লালুপ্রসাদের হেলিকপ্টার দেখা যেতেই নীচে জনতার উন্মাদনা। আ গয়া। আ গয়া। সভাস্থলের পাশেই হেলিপ্যাড। রুপোলি চুলের নেতা হেলিকপ্টার থেকে নামলেন। চোখে সানগ্লাস, হাতে হ্যারিকেন। জনতা উচ্ছ্বসিত।
ওড়িশার জননায়ক তথা জনতা দল নেতা মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়ক ১৯৯৫-র বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা হারিয়েছেন। বছর দুই বাদে মারাও গিয়েছেন। বাবার শূন্যস্থান পূরণ করতে রাজনীতির ময়দানে পা ফেলেছেন পুত্র নবীন পট্টনায়ক। বাবার নামে গড়েছেন নতুন পার্টি—বিজু জনতা দল। ২০০০ সালের বিধানসভা ভোটে ওই দল লড়ছে ‘শঙ্খ’ প্রতীক নিয়ে। ভোটের মুখে একদিন দলের এক নেতাকে পুরীর মন্দির থেকে বেরিয়ে আসতে দেখলাম। কয়েকদিন আগেই আলাপ হয়েছিল। বললাম জগন্নাথদেব দর্শন করলেন, কী চাইলেন? ভদ্রলোক স্মিত হেসে বললেন, এখন চাওয়ার তো শুধু একটাই। দেবতাকে বললাম, শঙ্খ চেনাও প্রভু। সেটা কী? আমার প্রশ্নে ফের হাসলেন নেতা। বললেন, খুব সমস্যা হচ্ছে আমাদের। বিজুবাবুকে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ শ্রদ্ধা করেন। তাঁর নামেই আমরা নতুন দলের জন্য ভোট চাইছি। কিন্তু মুশকিল কী জানেন, বিজুবাবু জনতা দলের নেতা ছিলেন। তাঁর প্রতীক ছিল চক্র। নবীনবাবু নতুন দলের প্রতীক নিয়েছেন শঙ্খ। বিজুবাবুর দলকে সমর্থন করতে চাইলে যে এবার চক্র নয়, শঙ্খ চিহ্নে ছাপ মারতে হবে বহু ভোটারকে তা বোঝানোই মুশকিল হচ্ছে। তাই প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললাম, ওদের শঙ্খ চেনাও প্রভু।
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন দু’বার কভার করেছিলাম। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে। ২০০১ এর ভোটের মুখে ঢাকার রাস্তায় আওয়ামি লিগের একটি প্রচার শোভাযাত্রায় চোখ আটকে গেল। শোভাযাত্রার বিভিন্ন অংশে গণ্ডা গণ্ডা ‘হাসিনা’। সাত আট দশ বছরের বালিকাদের নেত্রী শেখ হাসিনার স্টাইলে শাড়ি আর চশমা পরিয়ে শোভাযাত্রায় শামিল করা হয়েছে। ভোটপ্রচারের চমৎকার আইডিয়া। তখনও আমাদের দেশে মিছিলে নেতানেত্রীর মুখোশপরা সমর্থক দেখা যেত না। ইদানীং দেখা যায়। সবকিছুর পিছনেই ভোট টানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার কৌশল। এখন তো আবার সোশ্যাল মিডিয়া সবার উপরে নিজের স্থান করে নিয়েছে। এবার ভোটের প্রচারে অন্যান্য প্রচলিত মাধ্যমের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
গুরুত্বের বিচারের তুলসীপাতার ছোটবড় হয় না। আকারে বড় বা ছোট সব তুলসীপাতারই সমান মূল্য। ভোটের বেলায়ও তাই। ধনী-দরিদ্র, অট্টালিকার বাসিন্দা থেকে কুঁড়েঘরের বান্দা, নিরক্ষর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী অথবা চাপরাশি থেকে চেয়ারম্যান—সবারই একটি করেই ভোট। জিততে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে সংখ্যায় বেশি ভোট টানতে হবে। আর জিততে পারলেই সিকান্দার। তাই ভোট টানতে এতরকমের ছলাকলা, কায়দা কৌশল। নাটুকেপনা। হাতজোড় থেকে পদস্পর্শের ধূম। শাস্ত্রে বলেছে, প্রেমে আর রণে কোনও কৌশলই ফ্যালনা নেই। সবই যথার্থ। কৌশলের ভাবনায় ভোটের আগের ক’দিন নেতা-নেত্রী, প্রার্থী- শুভার্থীদের চোখে ঘুম নেই। দিনরাত একটাই ভাবনা। একটাই চাওয়া। ভোট চাই। ভোট।
26th  March, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM