Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি। ১৯৯১ সালের ২৪ জুলাই  ডঃ মনমোহন সিংয়ের এক ভাষণে ভারতের অর্থনীতির দিক বদল ঘটে গিয়েছিল। সেই স্মরণীয় ভাষণে তিনি ভিক্টর হুগোকে উদ্ধৃত করেন, ‘যে চিন্তার সময় উপস্থিত হয়েছে পৃথিবীর কোনও শক্তিই তাকে থামাতে পারবে না।’ এই বিবৃতি বা ভাষণগুলি থেকে নতুন শাসকদের অভিপ্রায় উচ্চস্বরে এবং স্পষ্টভাবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি বিবৃতি, সেটির উদ্গাতার আসল উদ্দেশ্যটি গোপনও করতে পারে। জাল মহাপুরুষরা মিথ্যে বিবৃতি দেন। কিছু বিবৃতি নরেন্দ্র মোদিেক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। যেমন—‘আমি প্রত্যেক ভারতবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেব’, ‘আমি বছরে ২ কোটি নতুন চাকরি সৃষ্টি করব’, ‘কৃষকদের আয় আমি দ্বিগুণ করে ছাড়ব’ প্রভৃতি। এগুলি নির্বাচনী ‘জুমলা’ হিসেবে হাসির খোরাকই হয়ে গিয়েছে। 
ভারতের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল—ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি—জাতীয় দল হিসেবেই গণ্য হয়। বিজেপির ইস্তাহার কমিটি তৈরি হয়েছে ৩০ মার্চ। অন্যদিকে, ৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহার। এই বিশেষ নিবন্ধে দুটি ইস্তাহারের তুলনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হাতে আছে যে কেবল কংগ্রেসের ইস্তাহারটিই! তাই আমি কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্যের তালিকা রাখছি, পাঠক এবং ভোটাররা তার ভিত্তিতে ইস্তাহার দুটির তুলনা করতে পারবেন। 
ভারতের সংবিধান
কংগ্রেস বলেছে, ‘আমরা আবারও বলছি যে, ভারতের সংবিধানই অন্তহীন যাত্রায় আমাদের একমাত্র পথপ্রদর্শক এবং সহচর থাকবে।’ বিজেপি সংবিধান মেনে চলবে না কি তার আমূল সংশোধন করবে, তা জানার জন্য মানুষ উদ্বেগের সঙ্গে অপেক্ষা করছে। এক দেশ, এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি),  নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (এটি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে) এবং অন্যান্য স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী ও বিভাজন সৃষ্টিকারী ধারণার প্রেক্ষিতেই এই প্রশ্ন উঠেছে। সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ওয়েস্টমিনস্টার নীতিগুলি তারা মেনে চলবে কি না সেটি বিজেপির স্পষ্ট করা উচিত।
আর্থ-সামাজিক ও জাতি গণনা, সংরক্ষণ
কংগ্রেস তার অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে সরকার তৈরি হলে তারা দেশব্যাপী আর্থ-সামাজিক এবং জাতি গণনা (সোশিও-ইকনমিক অ্যান্ড কাস্ট সেন্সাস) করবে। তারা সংবিধান সংশোধন করবে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার জন্য। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (ইডব্লুএস) জন্য চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থাটি সমস্ত জাতি এবং সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
কর্মসংস্থান ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য পরিমাপসহ তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কংগ্রেস একটি ডাইভার্সিটি কমিশন তৈরি করবে। মানুষের অধিকারের মতো বৃহত্তর ইস্যুতে, দুটি দলের কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? এর জবাবে বিজেপির উচিত তাদের অবস্থানের ধোঁয়াশা কাটিয়ে ফেলা এবং এই বিষয়গুলিতে তাদের উদ্দেশ্য সাফ সাফ জানিয়ে দেওয়া। 
সংখ্যালঘু
ভারতে ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘু শ্রেণিরা রয়েছে। কংগ্রেস বলেছে তারা বিশ্বাস করে যে, ভারতের সমস্ত মানুষ সমানাধিকারের ভিত্তিতেই মানবাধিকার উপভোগ করবেন। তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত তাঁদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণির আধিপত্যবাদ বা একনায়কত্বের কোনও স্থান নেই। বহুত্ববাদ এবং বৈচিত্র্যই ভারতের সারসত্য। কংগ্রেসের গায়ে ‘তোষণের’ তকমা সেঁটে দিয়েছে বিজেপি—এটি তাদের সুপরিচিত সংখ্যালঘু শ্রেণি বিরোধী অবস্থানের জন্য একটি সাংকেতিক শব্দ। বিজেপি কি সিএএ কার্যকর এবং ইউসিসি পাস করার ব্যাপারে তাদের সংকল্পটি ফের একবার জোরের সঙ্গে জানাবে? যেহেতু ধর্মীয় সংখ্যালঘু শ্রেণিগুলি এই আইন দুটিকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করে, তাই তারা বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের জন্য উদ্বেগসহকারে অপেক্ষা করছে।
যুব ও চাকরি
জনসংখ্যার জন্য ভারতের যে সুবিধাগুলি ছিল তা ক্রমে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সন্তোষজনক গড়ের চেয়ে নিম্ন বৃদ্ধির হার (৫.৯ শতাংশ), ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের (জিডিপির ১৪ শতাংশ) থম মেরে থাকার পরিস্থিতি, কাজে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের নিম্ন হার (৫০ শতাংশ) এবং ব্যাপক বেকারত্ব ( স্নাতকদের মধ্যে ৪২ শতাংশ) এজন্য দায়ী। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে যে ৩০ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে সেগুলি পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। তারা আরও কথা দিয়েছে—(১) শিক্ষানবিশ অধিকার আইন (রাইট টু অ্যাপ্রেনটিসশিপ অ্যাক্ট) তৈরি করবে। (২) কর্পোরেটদের জন্য একটি কর্মসংস্থান-সংযুক্ত প্রণোদনা প্রকল্প (এমপ্লয়মেন্ট-লিঙ্কড ইনসেনিটভ স্কিম বা ইএলআই) রূপায়ণ করবে, তার মাধ্যমে সৃষ্টি হবে নতুন চাকরির বিরাট সুযোগ। (৩) মূলধন জোগানোর মাধ্যমে, স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে প্রোমোট করার জন্য একটি ফান্ড স্কিমও নেবে কংগ্রেস সরকার। এগুলি তরুণদের মধ্যে শুরুতেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। যুবক-যুবতীদের চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য বিজেপি-এনডিএ সরকারের কোনও বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছিল না। অতএব এখানেই প্রশ্ন রাখতে চাই, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি আরও আকর্ষণীয় কোনও পরিকল্পনা সামনে রাখতে পারবে কি না।
মহিলা
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মহিলারা অংশগ্রহণ করেন সবচেয়ে বেশি উৎসাহ নিয়ে। তাঁরা প্রচারের ভাষণগুলি শোনেন এবং সেসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হন। যতটুকু কানে আসছে বা দেখা যাচ্ছে, তা থেকে মনে হয়—কংগ্রেসের মহালক্ষ্মী প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি (প্রতিটি গরিব পরিবারকে প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা অনুদান), মনরেগায় শ্রমিকের  দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ৪০০ টাকা, মহিলা ব্যাঙ্কের পুনরুজ্জীবন এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মহিলারা, এমনকী কম বয়সি মেয়েরাও বেশ উচ্ছ্বসিত। অন্যদিকে, বিজেপি তাদের ধর্মীয় (হিন্দুত্ব) আবেগের রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা
সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল বিজেপির স্বৈরাচার। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং ‘ভারত হল রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন’ এই যে সাংবিধানিক ঘোষণা—তাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বিজেপি। তাদের এক জাতি, এক নির্বাচনের তত্ত্ব ভীষণ সন্দেহজনক। এই তত্ত্ব—এক জাতি, এক নির্বাচন, এক সরকার, এক দল ও এক নেতার পথ প্রশস্ত করবে। কংগ্রেসের ইস্তাহারে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার একটি অধ্যায়ের উপর ১২টি পয়েন্ট রয়েছে। বিজেপি কি এগুলির কোনও একটিরও বিষয়ে সহমত হতে পেরেছে? সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী প্রতিশ্রুতি হল—আইন তৈরির কিছু ক্ষেত্রকে যৌথ তালিকা থেকে রাজ্যের তালিকায় স্থানান্তর করার ব্যাপারে ঐকমত্য স্থাপন। এই ১২টি পয়েন্টের ভিত্তিতে এবার বিজেপির বিশ্বাসযোগ্যতার পরীক্ষা হবে। 
যেসব বিষয় নিয়ে আমি ভাবিত, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল—সংবিধান, সংসদীয় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা এবং সাংবিধানিক নৈতিকতার প্রশ্নে যুযুধান দলগুলির প্রতিশ্রুতি। আমার ভোট সেই প্রার্থীরই পক্ষে থাকবে যিনি বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে এই নীতিগুলিকে সমর্থন করবেন এবং সেগুলির পালনে যত্নবান হবেন। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
15th  April, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
একনজরে
অটো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বধূর। ঘটনায় জখম হয়েছেন অটোয় থাকা আরও এক যাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শীতলকুচি-মাথাভাঙা রাজ্য ...

জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খানিকটা ম্রিয়মাণ। এখনও পর্যন্ত তিনি জনসভা করেছেন মাত্র দু’টি। তিনি মালদহে একটি রোড শোতে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই জনসভা করে ফেলেছেন ন’টি। ...

‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতায় জোড়া রেকর্ড গড়ল গরম
গরমে ফুটছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গবাসী। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে তাপপ্রবাহ। ...বিশদ

04:45:27 PM

১৮৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:24:09 PM

পাথরপ্রতিমার জনসভায় বক্তব্য রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

04:22:00 PM

ঘোষণা হয়ে গেল আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দল
আসন্ন পুরুষদের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের ভারতীয় দল ...বিশদ

04:19:02 PM

বিজেপির নেতারাই বলছে বাংলার প্রাপ্য টাকা না দিতে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:51:15 PM

১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, কংগ্রেস চুপ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:48:10 PM