Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ধর্মের বেশে ভোটব্যাঙ্ক!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

দুপুর গড়িয়ে বিকেলের পথে। তারিখটা ২৭ মে, ১৯৬৪। দিল্লির রাজপথে কালো মাথার ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। আর ভিড়ের বেশিরভাগেরই গতিমুখ তিনমূর্তি ভবনের দিকে। সেখানে শায়িত জওহরলাল নেহরু। শেষযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির গ্র্যানভিল অস্টিনও। মার্কিন ছাত্র। থিসিস লিখছেন ভারতের সংবিধানের উপর। তাই আগ্রহটা বাকিদের থেকে একটু বেশিই। গিয়ে দেখলেন, সবাই ভিতরে যেতে চায়। কিন্তু তাড়া নেই। অপেক্ষা করতেও রাজি সেই ভিড়। কোনও হুড়োহুড়ি নেই, না আছে চেঁচামেচি। এমন বড় জনসমাগম যে এত শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে পারে, জানা ছিল না অস্টিনের। অগ্রাধিকার অবশ্যই মন্ত্রী ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের। ভিআইপিদের ভিড়ে একটা গাড়ি এসে দাঁড়াল। নামলেন ডঃ সৈয়দ মাহমুদ। স্বাধীনতা সংগ্রামী। নেহরুর সঙ্গে কেমব্রিজে একসঙ্গে পড়েছেন। আবার একসাথে জেলও খেটেছেন। চোখের জল বাধা মানছে না। ঢালু জায়গাটা দিয়ে হেঁটে আসতে গিয়ে সামান্য বেসামাল হলেন। সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে এল একটা হাত। জগজীবন রাম। কী অদ্ভুত সমাপতন! এক দলিতের হাত ধরে উচ্চবর্ণের হিন্দুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন একজন মুসলিম।
রামচন্দ্র গুহর ‘ইন্ডিয়া আফটার গান্ধী’র এই বিবরণটার হঠাৎ দরকার কেন পড়ল? মোক্ষম কারণটা হল, সামনে লোকসভা ভোট। ভারতের সংবিধান নিয়ে গবেষণা করার টানে মার্কিন ছাত্র ছুটেছিলেন নেহরুর শেষযাত্রায়। প্রমাণ পেয়েছিলেন সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটিকে সংবিধানে ঠাঁই দেওয়ার যৌক্তিকতার। আজও কি শব্দটির একইরকম প্রাসঙ্গিকতা সংবিধানে আছে? কিছু রাজনৈতিক দল ভোটের স্বার্থে যে মেরুকরণের রাজনীতি সফলভাবে এদেশে আমদানি করেছে, তাতে ভালোরকম ধন্দ জাগে বইকি! তামাম বিরোধী দলের অভিযোগ অবশ্যই বিজেপির বিরুদ্ধে। আরএসএস যার চালিকাশক্তি। এবং রামমন্দির যে দলের মুখ্য নির্বাচনী ইস্যু। সেই ইস্যু অবশ্যই আজ ভূমিষ্ঠ হয়নি (ছিল প্রথম থেকেই)। ১৯৯৭ সালে একটি সাক্ষাৎকারে লালকৃষ্ণ আদবানি নিজেই বলেছিলেন, ‘বিজেপির উপর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কার্যত নৈতিক কর্তৃত্ব রয়েছে।’ বিষয়টি অবশ্য সর্বজনবিদিত। বাবরি সৌধ ধ্বংস, রথযাত্রা, রামসেতুর মতো ইস্যুর উপর ভিত্তি করেই অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকার কেন্দ্র দখল করেছিল। পাশাপাশি ছিল কার্যত হাইপ্রোফাইল নেতৃত্ববিহীন কংগ্রেস, হাওলা কেলেঙ্কারি, বিদেশিনী ইস্যু। এরপরও অবশ্য রাজনীতির তুলনায় ধর্মীয় মেরুকরণেই বেশি জোর দিয়েছে বিজেপি। অটলবিহারী বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কতটা বাস্তববাদী কিংবা সংস্কারপন্থী ছিলেন, সে প্রশ্ন আলাদা। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সঙ্গে বিজেপির প্রচারের কোনও সম্পর্কই নেই। ওই সাক্ষাৎকারেই আদবানি বলেছিলেন, ‘জাতপাতের টেনশন থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল হিন্দুত্ব। জাতপাতের রাজনীতি করে বিভিন্ন দল শুধুই ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করে গিয়েছে। বি আর আম্বেদকরের প্রতিবাদের মূল প্রতিপাদ্যই ছিল, রীতিনীতি এবং উচ্চবর্ণের নামে সামাজিক অবক্ষয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তার মূলে আঘাত করেছিল। রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল হরিজনের হাতে। তাই শুধু ১৯৯১ সালের ভোটেই উত্তরপ্রদেশ, বিহারে জাতপাতের রাজনীতি চোখে পড়েনি।’ আদবানি তখন বিজেপির লৌহপুরুষ। তাঁর মতামতের গুরুত্বও তাই সেই সময় মারাত্মক। মুসলমান সম্প্রদায় নিয়েও তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘মুসলিমদের অনেকেই তো যেচে এসে আমাকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমরাও সেটা ভেবেচিন্তে দেখি। আমাদের কাছে সবারই মতামতের গুরুত্ব আছে।’ যদিও তাঁর উত্তরসূরিদের মধ্যে এমন প্রবণতা খুব একটা চোখে পড়ে না। যোগী আদিত্যনাথ থানার মধ্যে রীতিমতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জন্মাষ্টমী পালন করেছিলেন। যুক্তি ছিল, মুসলিমরা তো রাস্তা আটকে নামাজ পড়ে। তাহলে জন্মাষ্টমী পালনে দোষ কী? তাঁকে কে বোঝাবে যে, রাস্তায় নামাজ পড়াটাও একজন ভারতীয় নাগরিকের ধর্মের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু সরকারি মেশিনারি ব্যবহার করে থানায় ধর্মানুষ্ঠান পালনটা নয়।
ফেরা যাক ভোটের সমীকরণে। ২০১১ সালের সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মুসলিম নাগরিক ১৪.২৩ শতাংশ। এর মধ্যে অবশ্য সবাই ভোটার নয়। কিছু বয়সের জন্য। আর কিছু ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায়। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটকের মতো রাজ্যে একটা মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। একটি মুসলিম পরিবারে যদি চারজন ভোটার থাকেন, তাহলে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে নাকি একজন বাদ হয়ে যান। সবার ক্ষেত্রে নয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এই ঘটনাটি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন একদিকে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং নারীর নাম তালিকায় ঢোকানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলির কলকাঠি নাড়ার খেলায় নিঃশব্দে বাদ হয়ে যাচ্ছেন কোনও না কোনও ভোটার। তাঁদেরও আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আগ্রহ দেখা যায় না। ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় ভোটার সংখ্যা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেই খুব ভালো বিজ্ঞাপন নয়। বিষয়টা যতটা রাজনৈতিক, ততটাই সামাজিকও বটে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর পরও ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটানোর লক্ষণ দেখা যায় না। তার উপর এক রাজ্য থেকে কর্মসূত্রে, বা অন্য কোনও কারণে আর এক রাজ্যে গিয়ে অনেকেই নতুন করে ভোটার কার্ড করেন। সৌজন্যে সেখানকার রাজনৈতিক দল। বছরখানেক আগের একটা হিসেব অনুযায়ী, দিল্লিতে এমন ৪ লক্ষ মানুষ আছেন, যাঁরা দু’টি করে ভোটার কার্ডের অধিকারী। যাই হোক, সেটা মুদ্রার উল্টো পিঠ। এক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, দেশের ১৪ শতাংশ মুসলিম নাগরিক একটা লোকসভা ভোটে কি আদৌ নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে? উত্তরটা হল, পারে। গোটা দেশে এমন ১৪টি লোকসভা আসন আছে, যেগুলি মুসলিম প্রধান। সেগুলির মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে তিনটি, অসমে চারটি, কেরলে দু’টি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি এবং বিহার ও লাক্ষাদ্বীপে একটি করে। ১০১টি আসনে মুসলিম ভোটার ২০ শতাংশের বেশি। ৫০টির মতো কেন্দ্রে এক-তৃতীয়াংশ। পরিসংখ্যান যদি এমন হয়, তাহলে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ধরতে কেনই বা রাজনৈতিক দলগুলি তেড়েফুঁড়ে নামবে না? দেদার সংরক্ষণ, বাড়তি সুবিধা, আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গে চোখ বন্ধ করে রাখা এবং নানান প্রকল্প। যা দেখে বিজেপি ও আরএসএস স্লোগান তোলে মুসলিম তোষণের। পশ্চিমবঙ্গও এ ধরনের অভিযোগের বাইরে যায় না! কারণ এ রাজ্যে ৬ কোটি ৯৭ লক্ষ ভোটারের মধ্যে মুসলিম প্রায় ৩০ শতাংশ। যে শাসক দলই এখানে ক্ষমতায় আসে, তারা এই ভোটব্যাঙ্কটিকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তো সর্বভারতীয় দলগুলিরও একই অ্যাজেন্ডা হয়।
গত ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে অবশ্যই এমন কোনও সমীকরণ খাটেনি। শুধু উত্তরপ্রদেশেই বিজেপি ৮০টির মধ্যে ৭১টি আসন দখল করেছিল। যে রাজ্যে ধর্ম এবং জাতপাতের রাজনীতিকে কাজে লাগিয়েই কি না দলগুলি ক্ষমতা দখল করে! কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছিল? প্রথম কারণ অবশ্যই মোদি-ঝড়। দ্বিতীয়ত, জাতি-ধর্ম-সম্প্রদায়ের নিরিখে প্রত্যেকেই সেবার ভেবেছিল বিজেপিকে সুযোগ দেওয়া উচিত। নরেন্দ্র মোদি দেশের এবং রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর রিপোর্ট কার্ড বেরিয়ে গিয়েছে। সংস্কারের বহু পদক্ষেপে তিনি হোঁচট খেতে পারেন, কিন্তু মোদির ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। আর রাফাল দুর্নীতি? বোফর্স মামলায় রাজীব গান্ধীর যোগ শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হয়নি। রাফালের ক্ষেত্রেও সবটাই অভিযোগের স্তরে আছে। তার উপর পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে মেরে আসার আবেগটা মোদির পক্ষে। যোগ হয়েছে আবার নীরব মোদির লন্ডনে গ্রেপ্তারের ‘সাফল্য’। ‘চৌকিদার’কে কেউ যদি বেগ দিয়ে থাকে, তাহলে তাঁরই দলের যোগীদের মতো সরকারেরা। ধর্মের রাজনীতি, গোরক্ষার নামে খুন... এমন অনেক কিছুই নম্বর কেটে নিয়েছে বিজেপির। ফল বোঝা গিয়েছে উপনির্বাচনগুলিতে। ২০১৪ সালে বিজেপি প্রাপ্ত মুসলিম ভোট এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে ১০ শতাংশ। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে দলিত সমর্থন। নম্বর কেটে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে অন্য রাজ্যেও। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস। খ্রিস্টমাসের আগের সন্ধ্যায় ৩২ জন পাদ্রী ক্যারল গাইতে গাইতে যাচ্ছিলেন। একটি সংগঠনের লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে থানায় ওই ৩২ জনকেই আটকে রাখা হয়। ওই শীতের রাতে তাঁদের মাটিতে বসে থাকতে হয়। এমনকী থানায় এসে ওই সংগঠনের কর্মীরা তাঁদের মারধর করে এবং গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ‘গোরক্ষা’ কিংবা ‘ধর্মরক্ষা’র নামে বহু ঘটনাই বেশ কিছু রাজ্যে বিজেপির, বা আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে নরেন্দ্র মোদির সংস্কারী ভাবমূর্তিকে পিছনের সারিতে ঠেলে দিয়েছিল। হয়তো ভোটের মুখে এসে কিছুটা হলেও বিজেপি উন্নয়ন এবং মোদিকে আবার রাজনীতির এই ম্যারাথন দৌড়ের সামনের দিকে আনতে পেরেছে। এখানেও একটা ভাবনার মতো পরিসংখ্যান আছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৯.১ শতাংশ ভোট। সম্মিলিত ইউপিএর ছিল ২৩ শতাংশ। সেখানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করেছিল। আর বাকি আঞ্চলিক দলগুলির মিলিত ভোট ছিল? ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ এনডিএর প্রাপ্ত ভোটের সমান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলা কিন্তু এই পরিসংখ্যানের নিরিখে দারুণ লাগসই। একইরকম চিত্র যদি আসন্ন নির্বাচনেও দেখা যায়, তাহলে আঞ্চলিক সব দল এবং ইউপিএর ভোট হয়ে যাবে ৬১ শতাংশ। হেলায় বিজেপিকে হারিয়ে সরকার গঠন করবে মহাজোট। কিন্তু সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার আগে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের জোটের দফারফা হয়ে গেল, তাকে অশনি সংকেত ছাড়া কীই বা বলা যায়! প্রাক-ভোট না হোক, নির্বাচন পরবর্তী যাতে সমঝোতা ঠিকমতো হয়, তার জন্য অবশ্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অস্ত্রই হল সংখ্যালঘু ভোট।
মাইনরিটিস এগ্রিমেন্ট বা দিল্লি চুক্তি। ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। যার মূল বিষয়বস্তু ছিল, দু’দেশই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার স্বার্থে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে। বিষয়টা কিন্তু আদৌ সেই পথে এগয়নি। উদাসীনতা এবং তোষামোদ চলেছে সমান তালে। ২০১৪ সালে বিজেপির ইস্তাহারে ছিল ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ... বিজেপি সকলের ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও কিন্তু বিজেপিকে ঢেলেই ভোট দিয়েছিল। এমনকী উত্তরপ্রদেশের রামপুরের মতো আসন... যেখানে মুসলিম ভোট ৫০ শতাংশেরও বেশি, সেখানেও বিজেপির হিন্দু প্রার্থীই জয়লাভ করেছিল। অথচ বাকি সব দলের প্রার্থীই ছিল মুসলিম। যদিও পরিস্থিতিতে অনেক বদল এসেছে। উত্তরপ্রদেশেরই কইরানা কেন্দ্রের উপনির্বাচন যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
অর্থাৎ, ধরে নেওয়া যেতেই পারে এবার বিজেপির ঝুলিতে মুসলিম ভোট কমছে। পাশাপাশি আরও একটা চমকদার পরিসংখ্যান আছে। ২০০৯ সালে, অর্থাৎ দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার গঠনের সময় কংগ্রেস পেয়েছিল প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোট। ২০১৪ সালেও কিন্তু ঠিক তাই। তাহলে কেন কংগ্রেস দলটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল? উত্তরটা হল, ভোট বিভাজন। যেখানে বিজেপির সরাসরি লড়াই, সেখানে সংখ্যালঘু এবং পাশাপাশি জাঠ বা দলিতদের ভোট মূলত কংগ্রেসের দিকেই গিয়ে থাকে। কিন্তু যদি আরও দু’টি বা একটি বড় আঞ্চলিক দল মঞ্চে ঢুকে যায়, বিজেপির কোনও অসুবিধা নেই। যে ভোট কংগ্রেসের পাওয়ার কথা ছিল, সেটাই সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টির মতো দলগুলির মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বিরোধীদের জয় নিশ্চিত করতে পারে একমাত্র মহাজোট। আর বিজেপি? নরেন্দ্র মোদি এখনও দেশজুড়ে প্রচারে নামেননি। তিনি জনসভায় সেঞ্চুরি করার লক্ষ্য নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। যা বদলে দিতে পারে সব সমীকরণ। পশ্চিমবঙ্গে কতটা পারবেন সন্দেহ আছে। কিন্তু বাংলা ছাড়াও তো পড়ে আছে গোটা দেশ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই গেম চেঞ্জার। মোদিও কিন্তু সার্জিকাল স্ট্রাইকে বিশ্বাসী। 
23rd  March, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৭১ রানে আউট সুনীল নারিন, কেকেআর ১৪৩/১ (১০.৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:45:38 PM

আইপিএল: ৭৫ রানে আউট ফিলিপ সল্ট, কেকেআর ১৬৯/২ (১৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:45:28 PM

আইপিএল: ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি ফিলিপ সল্টের, কেকেআর ১১৮/০ (৯ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:33:07 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি সুনীল নারিনের, কেকেআর ৯৪/০ (৭.৪ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:26:11 PM

আইপিএল: কেকেআর ৭০/০ (৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:10:43 PM

আইপিএল: কেকেআর ৭/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ পাঞ্জাব)

07:47:09 PM