Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংবিধান ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক কেমন সম্পর্ক ছিল তখন জওহরলাল নেহরু আর মহম্মদ আলি জিন্নার? ১৯৪৬ সালের কলকাতা দাঙ্গার পর, নোয়াখালি, তারপর বিহার, তারপর পাঞ্জাব। রক্তগঙ্গা বইছে। ঠিক সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাটলি ভারতীয় নেতাদের ডেকেছিলেন একটি মিটিংয়ে। মাল্টা হয়ে লন্ডন। ‘ইয়র্ক’ নামক সেই ফোর ইঞ্জিন বিমানে ‘নো স্মোকিং’ লাইট নিভে যাওয়ার পর জিন্না একটা ‘স্টেট এক্সপ্রেস ফাইভ ফাইভ ফাইভ’ সিগারেট ধরিয়ে বই খুললেন। বইয়ের নাম ছিল ‘আ নেশন বিট্রেড’। অবশ্যই প্রস্তাবিত পাকিস্তান সম্পর্কে। ঠিক পিছনের সিটে যিনি বসেছিলেন তিনি সাধারণত কুর্তা পরেন। কিন্তু সেদিন পরেছিলেন স্যুট আর টাই। জওহরলাল নেহরু। কিছুদিন ধরে তাঁর পিঠে ব্যাথা। স্যুট পরতে সুবিধা। সঙ্গে দুটি বই নিয়েছেন। রোজামন্ড লেহম্যানের লেখা ‘দ্য ব্যালাড অ্যান্ড দ্য সোর্স’। আর একটি বই পাশেই রাখা। সিনক্লেয়ার লিউইসের ’কাস টিম্বারলেন’। গোটা পথ দুজনে বই পড়লেন। একটিও বাক্য বিনিময় হল না। প্লেন যখন ল্যান্ড করল মাল্টায়, তখন নামার সময় কথা না বলা অত্যন্ত অশোভন। তাই জিন্না প্রশ্ন করলেন, ‘ওয়েল, আজকাল কী করছেন আপনি মিস্টার নেহরু?’ নেহরু মৃদু হেসে জবাব দিয়েছিলেন, ‘তেমন কিছু না। এই একটু পড়ছি, একটু ঘুমোচ্ছি, একটু হাঁটাহাঁটি করছি। ব্যস!’ আর কোনও আলাপচারিতা নয়। দুজনে দুদিক থেকে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে চলে যান।
কলকাতায় সদর দপ্তর থাকা হিন্দু সংগঠন অল ইন্ডিয়া বর্ণশর্মা স্বরাজ সংঘ লিখিতভাবে প্রস্তাব পাঠিয়ে দাবি করেছিল সংবিধান যেন প্রাচীন হিন্দু পুঁথিপত্রে যেসব বিধি, নিয়ম ও নীতি বর্ণিত হয়েছে তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়। নচেৎ তারা ওই সংবিধান মেনে নেবে না। উইনস্টন চার্চিল কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ভারতের সংবিধান যারা তৈরি করছে সেই সভায় তো কংগ্রেসের সদস্যদেরই আধিক্য। তার মানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব কোথায় হল? ওটা তো বর্ণহিন্দুদের স্বার্থই সুরক্ষা করবে। কংগ্রেস তো সংখ্যাগুরুদের দল। সংযুক্ত প্রদেশের এক সংসদ সদস্য আর ভি ধূলেকর ১৯৪৬ সালের ১০ ডিসেম্বর সংবিধান সভায় দাঁড়িয়ে একটি সংশোধনী পেশ করেছিলেন। এবং সেটির সমর্থনে ‘হিন্দুস্তানি’ ভাষায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সংবিধান সভার সভাপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ তাঁকে বলেছিলেন, এখানে বহু সদস্য কিন্তু হিন্দুস্তানি ভাষা জানেন না। ধূলেকর জবাব দিয়েছিলেন, যাঁরা হিন্দুস্তানি ভাষা জানেন না তাঁদের ভারতে থাকার কোনও অধিকারই নেই। এই সভায় উপস্থিত সদস্যরা সংবিধান নির্মাণের কাজে যুক্ত হয়েছেন অথচ হিন্দুস্তানি জানেন না, তাঁদের এই সভার সদস্য হওয়ারই যোগ্যতা নেই। সবথেকে ভালো হয় আপনারা অন্যত্র চলে যান। ভারত ছেড়ে। চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বাংলা ও দক্ষিণ ভারতীয় সদস্যদের মধ্যে। জওহরলাল নেহরু উঠে দাঁড়িয়ে ওই ধূলেকরকে ধমক দিয়ে বিরত করেন। বলেছিলেন, ‘শুনুন, এটা ঝাঁসির ময়দান নয় যে ভাইয়ো অর বহেনো বলে গলা ফুলিয়ে লেকচার দেবেন।’ সংবিধানের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরই কিছু সদস্য দাবি করেন ব্রিটিশ নাগরিকতাকে বর্জন করতে হবে। ভারতের সংবিধান আর প্রশাসন নির্মিত হোক গ্রামভিত্তিক। গান্ধীজির আদর্শকে সামনে রেখে। পঞ্চায়েত রাজ হোক ভারত। গ্রামীণ কাউন্সিল দেশ চালাবে। সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান বি আর আম্বেদকর বলেন, এটা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না। গ্রাম মানেও এক প্রাদেশিকতা। স্থানীয় স্বার্থ, অজ্ঞতা, সংকীর্ণ মনোভাব আর সাম্প্রদায়িকতা। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলে না। রাষ্ট্রকে প্রাদেশিকতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। তাই একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার শক্তিশালী রাজ্যগুলিকে নিয়ে গড়ে তোলা হোক নয়া ভারত। কৃষক নেতা এন সি রাঙ্গা গর্জে উঠেছিলেন। তিনি বললেন, আম্বেদকর ভারতের ঐতিহ্য কিছুই জানেন না। দক্ষিণ ভারতে এসে একটু দেখে যান সেখান শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কীভাবে গ্রামীণ পঞ্চায়েত ব্যবস্থা সমাজকে উন্নত করেছে। চার্চিল যা বলেছিলেন সেটা সত্যি প্রমাণ করতে মুসলিম লিগ সংবিধান সভা প্রথমদিকে বয়কট করেছিল। যাতে প্রতিষ্ঠিত হয় যে সত্যিই এটা আসলে হিন্দুদের স্বার্থই দেখবে এবং সেইভাবেই তৈরি হবে ভারতের সংবিধান। আর তাহ঩লেই পাকিস্তানের দাবি আরও জোরদার হবে।
এসব প্রসঙ্গ উত্থাপন করার কারণ কী? কারণ হল ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের সংবিধান রচনার কাজটি কী প্রবল সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে হয়েছিল তা বিশ্বের ইতিহাসে সম্ভবত একমাত্র উদাহরণ। আর এই দুয়েকটি উদাহরণ থেকে স্পষ্ট যে কতরকম মতবাদ পাল্টা মতবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল সংবিধান রচনাকারীদের সামনে। সেসব সামলাতে হয়েছে তাঁদের। সেই সংবিধান গ্রহণের ৭০ বছর হতে চলেছে এই বছর। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর সংবিধান সভায় অনুমোদিত তথা পাশ হয়েছিল ভারতের সংবিধান। স্থির হয়েছিল ঠিক দু’মাস পর অর্থাৎ ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সেই নয়া সংবিধান অনুযায়ী ভারত হবে নয়া সাধারণতন্ত্র। সুতরাং এই ২০১৯ সাল ভারতের সংবিধান অনুমোদন তথা গ্রহণের ৭০ তম বর্ষ। আর আজ আমাদের পারিপার্শ্বিক সামাজিক, রাজনৈতিক, নৈতিক আবট তথা নিত্যদিনের চর্চা, মনোভাব ও আচরণ বহু ক্ষেত্রে কিন্তু সংবিধানের লক্ষ্য, আদর্শ ও স্পিরিটের সম্পূর্ণ বিপরীত। ওরকম এক প্রবল ঘুর্ণিঝড়ের আবহে যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা নিবিষ্টমনে এরকম একটি নিপুণ সংবিধান রচনা করে গেলেন তাকে নস্যাৎ করে সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করে আমরা কি আমাদের অতীত ঐতিহ্য আর গৌরবকেই অপমান করছি না? ধর্ম নিয়ে হানাহানি বেড়েছে, জাতপাত নিয়ে রাজনীতি বিদ্যমান, ভাষার আগ্রাসন সমানভাবে চলছে। আজ সবথেকে বেশি আমরা আলোচনা করি, ঝগড়া করি, চর্চা করি আর পরস্পরকে আক্রমণ করি প্রধানত দুটি বিষয়ে। ধর্মীয় বিভেদ এবং রাজনৈতিক ভিন্নমত। অথচ সংবিধান রচনাকারীরা সবার আগে যেটা ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন সেটি হল এই দুই বিভেদ। অস্পৃশ্যতা, জাতপাত, সম্প্রদায়গত এবং ধনী দরিদ্র বিভাজনের পাশাপাশি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক শত্রুতার অবসান চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই কারণে সবথেকে শক্তিশালী দল কংগ্রেসের প্রথম সারির যোগ্য নেতারা থাকা সত্ত্বেও গান্ধীজি থেকে নেহরু, সকলের চরম সমালোচক বি আর আম্বেদকরকে করা হয়েছিল সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান। সংবিধান সভার প্রথম সারিতে নেহরু ও প্যাটেলের পাশেই আসন নির্ধারিত করা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্যতম বিরোধী নেতা শরৎচন্দ্র বসুর। জয়পাল সিং লাগাতার বলেছিলেন, মুসলিম লিগ যোগ না দিলে এই সভার কোনও গুরুত্ব নেই। সেই জয়পাল সিংকে তথ্য আর যুক্তি দিয়ে বোঝানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন আর কেউ নয়, স্বয়ং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ৩০০ জন সদস্য ছিলেন। অসংখ্য মতবাদ। তার থেকে বাছাই করে, জোরজবরদস্তি নয়, সকলের মন জয় করে সংবিধান রচনার কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
১৯৪৬ থেকে ১৯৪৯, ভারতের এই তিনটি বছরের ইতিহাস বস্তুত আধুনিক ভারতের সবথেকে অস্থির, সবথেকে বেদনাদায়ক, সবথেকে সন্ত্রাসকবলিত, সবথেকে অমানবিক আর সবথেকে লড়াইয়ের সময় হিসেবেই পরিগণিত। দাঙ্গার ঘা শুকানোর আগেই ঝড়ের মতো এসেছিল দেশভাগ। কাশ্মীরে যুদ্ধ। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুকে নিয়ে দিশাহারা নতুন সরকার। তার সঙ্গে চলছে রক্তের উৎসব। ১৯৪৮ সালের জুন মাসে ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে চলে যাবে স্থির হয়েছিল। কিন্তু আচমকা ৩ জুন ১৯৪৭ সালে ভাইসরয় মাউন্টব্যাটেন একটি বৈঠক ডাকলেন। এবং বললেন, আর মাত্র আট সপ্তাহ। ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ চলে যাবে এবং দেশভাগ হচ্ছেই। পরদিন ৪ জুন সেটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও হয়ে গেল। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল অখণ্ড ভারতের। কোনও মানসিক, প্রশাসনিক প্রস্তুতিই ছিল না। লক্ষ লক্ষ মানুষ জানে না তাঁদের দেশ কোনটা হবে। কারণ দেশ কাটার কাঁচি ভারতের হাতে নেই। তার জন্য আসবেন একজন ব্রিটিশ । সিরিল র‌্যাডক্লিফ। দাঙ্গা বেড়ে গেল। উদ্বাস্তুর সমুদ্র আছড়ে পড়ছে প্রতিদিন। সেরকম এক মুহূর্তে চলছে সংবিধান রচনা। এবং গান্ধী হত্যা। ৩০ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে ওই খবরের পর রেডিওতে শান্তিরক্ষা করার আহ্বান জানাতে গিয়ে নেহরু কেঁদে ফেলেছিলেন। প্যাটেল বলেছিলেন, আমাদের এবার সব বিভেদ ভুলে একজোট হয়ে বাপুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। এবং ওই প্রচণ্ড আঘাতের মধ্যেই প্যাটেল কয়েকদিন পরই মর্নিং ওয়াকের সময় ডেকে পাঠাতেন সংবিধান সভার কিছু সদস্যকে। তাঁদের সঙ্গে মর্নিং ওয়াক করতে করতে তিনি তাঁদের সংবিধানের খসড়া নিয়ে আপত্তি ও প্রতিবাদের কথা শুনতেন। এবং বোঝাতেন ধৈর্য ধরে। নিষ্পত্তি হতো সমস্যার। এগিয়ে যেত সংবিধান রচনার কাজ।
১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর সংবিধান সভার কাজ সমাপ্ত হওয়ার প্রাক্কালে বি আর আম্বেদকর শেষ বক্তৃতায় সতর্ক করেছিলেন কয়েকটি বিষয়ে। তার মধ্যে দুটি সতর্কবার্তা আমরা ৭০ বছর পর স্বচ্ছন্দে ভুলে গিয়েছি। তিনি বলেছিলেন, ১) ‘পৃথিবীর যে কোনও দেশের তুলনায় রাজনীতিতে ভক্তিবাদ ভারতে সবথেকে বেশি। ধর্মে ভক্তি আত্মাকে শান্তিপ্রদান করে। কিন্তু রাজনীতিতে ভক্তি অথবা একজন নেতাকেই হিরো হিসাবে বন্দনা করা চরম বিপজ্জনক। কারণ সেটি নিশ্চিতভাবে অগ্রসর হয় স্বৈরতন্ত্রের দিকে।’ ২) ‘২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ থেকে ভারত চরম এক বৈপরীত্য ও দ্বিচারিতা নিয়ে অগ্রসর হবে। রাজনীতিতে আমাদের মধ্যে সাম্য থাকবে, অথচ আর্থিক ও সামাজিকভাবে থেকে যাবে চরম বৈষম্য। রাজনীতিতে আমরা স্বীকৃতি দেব একটি ভোট একটি মূল্য। প্রতিটি ভারতবাসীর ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য। কিন্তু সামাজিক ও আর্থিকভাবে সব মানুষের মূল্য সমান হবে না। কতদিন এই বৈষম্য আর দ্বিচারিতা নিয়ে ভারত চলবে? ভারতবাসীর মধ্যে সামাজিক আর আর্থিক বৈষম্যের যদি অবসান না হয় তাহলে আমরা রাজনৈতিক গণতন্ত্রকেও আসলে হত্যা করব।’
সংবিধান রচনার ৭০ বছর পরও আম্বেদকরের সতর্কবার্তা ধ্রুব সত্য হিসেবে রয়ে গিয়েছে। এটাই আমাদের কাছে সবথেকে বড় অগৌরব। তাই সংবিধানের ৭০ বছরে পা দিয়ে আজ আমাদের কী উচিত নয় অন্তত প্রতিটি মৌলিক অধিকারকে সযত্নে করে রক্ষা করার শপথ গ্রহণ? ধর্ম ও সংস্কৃতির অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, সাম্যের অধিকার, ভাষার অধিকার ... জীবনের অধিকার! সোজা কথা হল, যে দল সংবিধানকে রক্ষা করবে, আমরা সেই দলের সমর্থক হব। সে দলের নেতানেত্রীর নাম যাই হোক না কেন!
04th  January, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:24:38 PM

আইপিএল: ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি প্রভসিমরনের, পাঞ্জাব ৬৮/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:15:20 PM

আইপিএল: পাঞ্জাবকে ২৬২ রানের টার্গেট দিল কেকেআর

09:39:04 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট রিঙ্কু সিং, কেকেআর ২৫৯/৫ (১৯.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:32:37 PM

আইপিএল: ২৮ রানে আউট শ্রেয়স আয়ার, কেকেআর ২৪৬/৪ (১৮.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:26:32 PM