একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
অন্তিম ওভারে বেঙ্গালুরুর দরকার ছিল ২১ রান। নিশ্চিন্তেই মিচেল স্টার্কের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন কেকেআর ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আয়ার। ভেবেছিলেন, জয়ের পতাকা উড়িয়ে হয়তো প্রায়শ্চিত্ত করবেন অজি তারকা। কিন্তু শেষ ওভারে টেলএন্ডার করণ শর্মার হাতেও তিনটি ছক্কা খেয়ে দলকে তিনি ঠেলে দিয়েছিলেন বিপদে। এরপর শেষ দুই বলেই যেন লুকিয়ে ছিল ম্যাচের যাবতীয় নির্যাস। পঞ্চম ডেলিভারিতে করণের ফিরতি ক্যাচ অনবদ্য প্রয়াসে তালুবন্দি করেন ২৪.৭৫ কোটির স্টার্ক। শেষ বলে দু’রান হলে সুপার ওভার, তিন রান হলে আরসিবি’র জয়। লকি ফার্গুসন কোনওক্রমে অফ সাইডে খেলে দৌড়লেন দ্বিতীয় রানের জন্য। কিন্তু ক্রিজে পৌঁছানোর আগে কিপার ফিল সল্ট অনবদ্য প্রয়াসে ভেঙে দিলেন উইকেট। যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল নাইট সমর্থকদের।
টসে হেরে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬ উইকেটে ২২২ রান তোলার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন সহজেই জিতবে বেগুনি জার্সিধারীরা। তবে মসৃণ ছিল না নাইটদের জয়ের পথ। বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিরাট সহজাত ভঙ্গিতে গ্যালারিকে টেনে নিয়েছিলেন নিজের দিকে। কিন্তু হঠাৎই ইন্দ্রপতন। হর্ষিতের স্লোয়ার ফুলটসে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে কোহলি মাঠ ছাড়তেই চাপে পড়ে যায় আরসিবি। বিরাট যতই বলের উচ্চতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করুন, তিনি আউটই। কারণ, ক্রিজ থেকে অনেকটা বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যাট করছিলেন ভিকে। তাই রিভিউ নিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরলেন ফাফ ডু’প্লেসি (৭)। তবে তৃতীয় উইকেটে উইল জ্যাকস ও রজত পাতিদারের যুগলবন্দি নাইটদের পাল্টা চাপে ফেলে দেয়।
আরসিবি’র স্কোর তখন ১৩৭-২। জয়ের জন্য দরকার ৫৪ বলে আর মাত্র ৮৬। চাপের মুখে নাইটদের ত্রাতা হয়ে উঠলেন রাসেল। ১২তম ওভারে পর পর দু’টি উইকেট তুলে নেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। প্রথমে ফেরান জ্যাকসকে (৫৫)। তারপর রজত পাতিদারকে (৫২)। ব্যর্থ ক্যামেরন গ্রিনও (৬)। তবুও দীনেশ কার্তিকের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল আরসিবি। ১৯তম ওভারে রাসেলকে ছয়, চার মারার পর মনে হচ্ছিল ভিন্টেজ ডিকেই মহামঞ্চের নায়ক হবেন। কিন্তু ২৫ রানে কার্তিককে আউট করে নাইট শিবিরে স্বস্তি ফেরান রাসেল।
এর আগে নাইটদের ইনিংসের গোড়ায় ফিল সল্টের ঝোড়ো ব্যাটিং চাপে ফেলে দিয়েছিল বেঙ্গালুরুকে। ফার্গুসনের এক ওভারে ২৮ রান তোলেন তিনি। তবে ১৪ বলে ৪৮ করে সল্ট আউট হতেই নাইটদের রানের গতি মন্থর হয়। ষষ্ঠ ওভারে নারিন (১০) ও রঘুংবংশীর (৩) উইকেট তুলে নেন যশ দয়াল। বিনা উইকেটে ৫৬ থেকে হঠাৎই কেকেআরের স্কোর দাঁড়ায় ৭৫-৩। ফের হতাশ করেন বেঙ্কটেশ আয়ারও (১৬)। তবে কঠিন সময়ে দক্ষতার সঙ্গে ব্যাট করলেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আয়ার। ৫০ রান করে গ্রিনের বলে আউট হন তিনি। এদিন রিঙ্কু সিংকে (২৪) নামানো হয়েছিল রাসেলের আগে। কিন্তু তিনি সহজাত ইনিংস খেলতে পারেননি। ফার্গুসনের প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন রাসেল। কিন্তু বল কোমরের উপরে থাকায় নো বল হয়। শেষ পর্যন্ত ২০ বল খেলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবিয়ান তারকা। শেষদিকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অজ্ঞাতকুলশীল রমনদীপ। ৯ বলে ২৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে তিনি বোঝালেন, আইপিএল অনামীদের নায়ক হয়ে ওঠার মঞ্চও। তবে নাইটদের দুধর্ষ জয়েও কাঁটা হয়ে বিঁধছেন স্টার্ক। তাঁর তিন ওভারে উঠল যে ৫৫!