একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
তীব্র গরমের মধ্যেও এদিনের এই জনসভাতে মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রার্থী শতাব্দী রায় ছাড়াও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ সহ জেলার অন্যান্য বিধায়ক, ব্লক সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। অভিষেক এদিন বলেন, এই রাঙামাটির জেলায় ৯ লক্ষের কিছু বেশি মায়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। ১২ লক্ষ ৬১ হাজার জন কন্যাশ্রী পান। প্রায় ৩৭ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে রেশন পান। ২৫ লক্ষ পড়ুয়া ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ পান। আর বিজেপি সরকার লক্ষ লক্ষ মানুষের হকের টাকা আটকে রেখেছে। জেলার প্রসঙ্গ উঠতেই ঘুরেফিরে আসে বিজেপির ঘোষিত প্রার্থী দেবাশিস ধরের কথা। অভিষেক বলেন, আমাদের দলের যাঁরা আবর্জনা ছিলেন, তাঁদের বিজেপি নিজেদের দলে নিয়ে গিয়ে ২০২১-এ টিকিট দিয়েছিল। ফলে ফল যা হওয়ার, তাই হয়েছে। রাজ্য সরকারের আবর্জনা ছিলেন এখানকার বিজেপি প্রার্থী। যাঁর নেতৃত্বে গুলি চলেছিল। জানি না, এখন বিজেপির প্রার্থী কে! চারিদিকে দেখছি দেওয়াল মোছা হচ্ছে। যাঁরা নিজেদের প্রার্থীই ঠিক করতে পারছেন না, তাঁরা আবার অন্যদের নিয়ে এত কথা বলে কী করে! ১৫ দিনে দু’বার প্রার্থী বদলই হল মোদির গ্যারান্টি! এছাড়াও তিনি বলেন, এরা শান্তিনিকেতনের ফলক থেকে কবিগুরুর নাম মুছে দিয়েছিল। অমর্ত্য সেনকে বাড়ি থেকে উৎখাত করতে চেয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দলিল তুলে দেন। এটাই পার্থক্য। অভিষেক বলেন, ওরা আমাদের লক্ষ, কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছে। তা সত্ত্বেও আমরা মানুষকে অসুবিধায় রাখিনি। শপথ নিন, এখান থেকে শতাব্দীকে ২ লক্ষ ভোটে জেতাবেন। হর্ষধ্বনিতে সায় দেয় জনতা। বীরভূমে বিজেপির গড় হিসাবে পরিচিত খয়রাশোলের হাওয়া এই সভার ফলে অন্যদিকে ঘুরবে বলে দীপ্তকন্ঠে বলছেন তৃণমূল নেতারা।
অন্যদিকে, এদিনই বিজেপি প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া দেবতনু ভট্টাচার্য মহম্মদবাজারে চা চক্রে নেতা, কর্মীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর দাবি, দলের প্রতীকে ভোট হবে। আদালতে যাই হোক না কেন, আমি প্রচারে সর্বদা রয়েছি। মানুষ মোদিজির দিকে তাকিয়ে ভোট দেবেন।
খয়রাশোলের গোষ্ঠ ডাঙ্গাল মাঠে সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।-নিজস্ব চিত্র