একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, ওই প্রৌঢ় এদিন সকালে বাজার করতে চুয়াপুকুরে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার সময় হাঁসুয়া জাতীয় কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়। প্রচণ্ড আক্রোশ থেকে এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতের ভাইয়েরা খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত ভাইয়ের মধ্যে মোস্তাফা সবার বড়। তাঁর দুই ভাই পাকাপাকিভাবে কলকাতায় থাকেন। পৈতৃক বসতভিটেয় পাঁচ ভাইয়ের পাশাপাশি বসবাস। পৈতৃক বসতভিটে ও জমি সংক্রান্ত ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে গত বেশ কয়েক বছর ধরে অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে মোস্তাফার বিবাদ চলছিল। বেশ কয়েকবার ঝগড়াবিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসে মিটমাট করে দেয়। মাঝে কিছুদিন দু’পক্ষই চুপচাপ থাকলেও দিন কয়েক ধরে আবার ঝগড়াবিবাদ শুরু হয়। মৃতের ছেলে জালালউদ্দিন শেখ বলেন, শুক্রবার বিকেলে বাবা লালগোলা থেকে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিল। সরু গলির মধ্যে আমাদের বাড়ি। সেই সময় আনিকুল ইসলাম নামে এক কাকা গলির মধ্যে রাস্তাজুড়ে দাঁড়িয়েছিল। বাবা রাস্তা ছেড়ে দাঁড়াতে বলায় আনিকুল কাকা গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপে মিটে যায়। এদিন সকালে বাবা বাগান পথ দিয়ে বাজার করতে চুয়াপুকুরে গিয়েছিল। নির্জন পথে বাবাকে একা পেয়ে কাকারাই খুন করেছে।
লালগোলা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’দশক আগে নিজের বোনকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠেছিল মোস্তাফা শেখের বিরুদ্ধে। সেই খুনের বদলা নিতে এই খুন কি না খতিয়ে দেখছে পুলিস।