পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনকে কেন্দ্র করে জ্ঞাতি বিরোধের আশঙ্কা। কর্মে সংযোগের অভাব। ... বিশদ
শুক্রবার মুর্শিদাবাদে জেলার হরিহরপাড়া ও সূতিতে দু’টি জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দুই জায়গাতেই ব্যাপক ভিড় হয়। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভায় দাঁড়িয়ে মমতা কংগ্রেস-সিপিএম জোটকে তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদের বাকি দু’টি আসন একদিনে ভোট, আর বহরমপুরে ভোট হবে অন্যদিনে। আলাদা করে ১৩ মে। কেন এটা করা হয়েছে? কারণ এটা বিজেপির লাইন। তবে সেই লাইনকে আমরা বেলাইন করব।
এদিন সভা থেকে জোটকে আক্রমণ করলেও তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বা মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের নাম একবারও মুখে আনেননি। মমতা বলেন, কেউ কেউ বলছে, আমরা ইন্ডিয়া, আমাদের ভোট দিন। কংগ্রেস, সিপিএম এখানে ‘ইন্ডিয়া’ নয়। ওরা বিজেপি করে। সিপিএম-কংগ্রেস জোটকে একটা ভোট দেওয়া মানে, বিজেপিকে দু’টো ভোট দেওয়া। একটা ভোটও ওদের দেবেন না। এখানে কেউ ইন্ডিয়া নেই। ওটা দিল্লিতে আছে। আমিই তৈরি করেছি ‘ইন্ডিয়া’। এর পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দেন, দিল্লিতে সরকার গড়বে ইন্ডিয়া। আর তাকে নেতৃত্ব দেবে তৃণমূল। তিনি একথা বলামাত্র তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
মমতা বলেন, সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে অত্যাচারের দিন ফিরিয়ে আনা। আর অন্য কাউকে একটি ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। আমরা লড়ব ও আমরা গড়ব। বিজেপিকে হটাব। এই শপথ নেওয়ার দিন এসেছে। এদিন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও মমতা প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, যার বিয়ে তিনি পুরোহিতের ভূমিকা পালন করছেন। এটা এবার প্রথম দেখছি। স্টেট পুলিসকে বাদ দিয়ে সেন্ট্রাল পুলিস দিয়ে ভোটের সবকিছু করতে চাইছে। ইভিএম লুট করতে চাইছে। সেন্ট্রাল পুলিস আগে এত বিজেপি ছিল না।
এদিন মঞ্চ থেকে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও নিয়ামত শেখকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে মমতা বলেন, হুমায়ুন সবার থেকে কথা বেশি বলে। কিন্তু, ও কাজটাও করে। নিয়ামতকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি ও আমার লড়াইয়ের সাথী। ওর বেশকিছু দাবি আছে। আমরা ধীরে ধীরে সেগুলি করব।
হরিহরপাড়ায় জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র