আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের তৈরি করা সি-ভিজিল অ্যাপ আনা হয়েছে। অনলাইনে ওই অ্যাপের মাধ্যমে অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন। এছাড়া হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেও নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানানো যাচ্ছে। তাছাড়া ডাক যোগেও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা যাবে। নির্বাচন ঘোষণার পর বাঁকুড়ায় কন্যাশ্রী ভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তারসঙ্গে সিভিজিলে আসা অভিযোগের নজরদারিতেও বসানো হয়েছে এমসিসির টিম। ২৪ ঘণ্টাই সেখানে নজরদারির জন্য অফিসারদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর সিভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৩০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে সেইসব অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ৯০ মিনিটের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ফ্লাইং স্কোয়ার্ডের টিম গিয়ে তা খতিয়ে দেখেছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সি-ভিজিল অ্যাপে ছবি দিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন অনেকেই। সেই অভিযোগ পেয়ে ফ্লাইং স্কোয়ার্ড টিমের সদস্যরা যাচ্ছেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে তার পাল্টা ছবিও অ্যাপে আপলোড করছেন। এখনও পর্যন্ত ১০০ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এমসিসি সেলের এক আধিকারিক বলেন, আপাতত জেলার ২২টি ব্লক ও তিনটি পুরসভা এলাকায় ৪২টি ফ্লাইং স্কোয়ার্ড টিম কাজ করছে। অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার টিম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তাদের নজরদারিও অনলাইনে চালানো হচ্ছে। ফলে গাফিলতির কোনও প্রশ্ন নেই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সি-ভিজিল অ্যাপে বেশিরভাগ আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের নালিশ জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সরকারি জায়গায় দলীয় পতাকা, ফেস্টুন টাঙানোর অভিযোগই বেশি উঠেছে। দু’-একটি রাজনৈতিক গোলমালের অভিযোগ এসেছে। সেগুলির নিষ্পত্তিও করা হয়ে গিয়েছে। হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেও অনেকে অভিযোগ জানিয়েছেন।
বিজেপির বাঁকুড়া নগর মণ্ডলের সভাপতি কৌশিক পাঠক বলেন, তৃণমূল বিনা অনুমতিতে বাঁকুড়া শহরের বেশ কয়েকটি সরকারি জায়গায় হোর্ডিং লাগায়। সি-ভিজিলে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু, সেগুলি সরানো হয়নি। অথচ রিপোর্টে সেগুলি সরানো হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে।
তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি তীর্থঙ্কর কুণ্ডু বলেন, তৃণমূল কোনও সরকারি জায়গায় হোর্ডিং দেয়নি। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তবে সিভিজিল অ্যাপে আমরা যেসব অভিযোগ জানিয়েছি। প্রশাসন সেগুলির নিষ্পত্তি করেছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে লাগানো পতাকা, ফেস্টুন খুলে দিয়েছে।