আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
এদিন দুপুরে ওই গ্রামে গ্যাস ওভেন জ্বালিয়ে শিশুর জন্য দুধ গরম করছিলেন পুঁটি বিশ্বাস। কিন্তু হঠাৎ ওভেনে আগুন ধরে যায়। তিনি শিগগির বাচ্চাকে নিয়ে ঘর ছেড়ে বের হন। চিৎকার করে আগুন ধরার কথা প্রতিবেশীদের জানান। পরক্ষণেই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন পাশের দু’টি বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। তিনটি বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। স্থানীয়রা বালতি হাতে জল নিয়ে আসেন। কিন্তু কয়েক বালতি জলে নেভার মতো আগুন এটা ছিল না। মাটির দেওয়াল ও ছিটেবেড়া দেওয়া তিনটি বাড়ি এলাকাবাসীর চোখের সামনেই পুড়ে যায়। আগুনে শাস্তিবালা বিশ্বাস নামে এক সত্তরোর্ধ্ব মহিলা জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু বিশ্বাস বলেন, আগুন নেভানোর জন্য এলাকায় কোথাও জল নেই। পুকুর, খাল সবই ফাঁকা। তাই চোখের সামনেই তিনটি বাড়ি ছাই হয়ে গেল। আমরা খালি বালতি হাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। একটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তরফে জিতেন বিশ্বাস বলেন, বাড়ির আসবাবপত্র, নগদ টাকা, গয়না-সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এমনকী, ছেলেমেয়েদের বইপত্র, সবুজ সাথীর সাইকেলও পুড়ে গিয়েছে। অপর বাসিন্দা পূর্ণিমা বিশ্বাস বলেন, প্রায় একঘণ্টা ধরে চোখের সামনে সবকিছু পুড়ে গেল। গ্রামের সবাই আগুন নেভাতে এলেও জল পাওয়া যাচ্ছিল না। সংকীর্ণ রাস্তার কারণে দমকলের ইঞ্জিনও গ্রামে ঢোকে না। আগুনে শুধু যে বাড়ি পুড়ল, তা নয়। আমরাও একেবারে পথে বসে গেলাম।