বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘাসফুলের টিকিট পাননি স্থানীয় প্রভাবশালী বহু নেতা। যাঁরা নিজের ক্যারিশমায় ঘুরিয়ে দিতে পারেন ভোটের মোড়। একাই যে কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোট বের করে আনতে পারেন পঞ্চায়েতের একাধিক আসন থেকে। কারও ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। কেউ আবার এলাকার ডাকাবুকো নেতা। কিন্তু শাসকদলের গোষ্ঠীবাজির জন্য টিকিট পাননি। এইসব অভিমানী নেতারা পঞ্চায়েত স্তরে দলকে টাইট দিতেই যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী শিবিরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বহু আসনে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের বাম-কংগ্রেস কিংবা নির্দল প্রতীকে ভোটে লড়তে। তখন সেই সমস্ত টিকিট বিদ্রোহীদের আটকানোই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল শাসকদলের কাছে। যা নিয়ে তৎকালীন সময়ে শাসকদলের অন্দরে ব্যাপক চাপানউতোর।
এমনকী ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর দেখা যায়, টিকিট বিদ্রোহী বহু তৃণমূল নেতাই অন্য দলের প্রতীকে ভোটে জিতেছেন। মূলত কৃষ্ণনগর সংগঠনিক জেলার বিভিন্ন ব্লকে এমন ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে। তাঁদের অনেকে আবার ভোটে জেতার পর তৃণমূলে যোগদান করেছেন। কিন্তু দলে যোগদান না করা বিদ্রোহী তৃণমূল নেতাদের সংখ্যাও কম নয়। লোকসভা নির্বাচনের সময় তাঁদেরই ফের ঘাসফুলের হয়ে প্রচারে ঝাঁপাতে দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন বাইক মিছিলেও শামিল হচ্ছেন। সেরকমই এক বিদ্রোহী নেতার কথায়, ’পঞ্চায়েত গোষ্ঠীগত ভোট। সেখানে অল্প কটার ভোটের মার্জিনে কেউ জিতেছে, কেউ হেরেছে। কিন্তু লোকসভা হল দেশ গঠনের ভোট। সেখানে আমরা সকলেই একত্রিত।’ বিরোধী শিবিরের জনপ্রতিনিধি হলেও বকলমে তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী হয়েই নিজের পুরোনো দলকে জেতাতে মরিয়া হয়েছেন। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে কোথায় কী হয়েছে সেসব নিয়ে আমরা এখন ভাবছি না। আমাদের লক্ষ্য রেকর্ড লিড দিয়ে এই আসনটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া।
সিপিএম নেতা সুমিত বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের উপর মানুষ অতিষ্ঠ। মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়েই আমাদের ভোট দিয়েছিলেন। আমাদের দলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভোট হয় না। মানুষ প্রতীক দেখে ভোট দেন।