ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন। তাঁর ভাষণ শুনে অবাক লাগছে। ইনি নাকি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, যার প্রতিটি কথায় শুধু বিভাজনের চেষ্টা। এই রাজ্যের সম্প্রীতি নষ্ট করতে তাঁর কথার জুরি মেলা ভার। দুর্গাপুজো নিয়ে বড় বড় কথা বলেছেন উনি। এদিকে উনি দেশের আর কোনও একটা রাজ্য দেখান, যেখানকার সরকার দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য করে।
তাহের আরও বলেন, মোদি নির্বাচন বৈতরণী পার করতে বিভাজনের তাস খেলার চেষ্টা করছেন। রামমন্দির উদ্বোধন করে ভেবেছিলেন, ভোটের ফায়দা তুলবেন। কিন্তু সেটা নিয়ে মানুষের মধ্যে আর কোনও উন্মাদনা নেই। তাই নতুন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে উস্কানিমূলক ভাষণ দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা। চড়ক পুজোয় মুর্শিদাবাদ জেলায় দু’-একটা ছোট সমস্যা হয়েছে। সেই আগুনে ঘি ঢেলে বিভেদ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে বিজেপি। এসব মানুষ ভালোভাবে নেয় না।
ধর্মীয় বিভাজন মোদি নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন বলে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতারা। বহরমপুরের বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, রামনবমীর মিছিল বিজেপি বরাবর করে। বিজেপির রামের প্রতি আলাদা ভক্তি আছে। বাংলায় মন্দির ভাঙা হয়, অন্য রাজ্যে তো ভাঙা হয় না। কোনও কারণে বিশেষ সম্প্রদায়কে খুশি করতে বিজয়া দশমীর সময় ভাসান পিছিয়ে দেওয়া হয় এই রাজ্যে। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন। বিজেপির রাজ্যে রামনবমী ও মহরমের মিছিল একসঙ্গে বের হয়। এখানে মহরমের জন্য ভাসান পিছিয়ে দিতে হয়। বিজেপি সরকার সবার বিকাশে আছে, সবাইকে নিয়ে চলে। এই রাজ্যে অনুদান নিয়ে সবাই ছি ছি করছে। দিদির অনুদান চায় না, ভিক্ষা চায় না কেউ। বাংলার মানুষ নিষ্ঠা করে আগেও পুজো করেছে। ভাতা না পেলেও পুজো করবে। পাশাপশি ইমাম ও মোয়াজ্জিমরা ভাতা না পেলেও নমাজ পড়বেন। আর্থিক ভাবে পঙ্গু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ধর্মীয় বিভাজন মোদি নয়, মমতাই বেশি করে চাইছে।