সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নদীয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি ছিলেন গৌরীশঙ্কর দত্ত। নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পর তাঁকে সরিয়ে অখণ্ড নদীয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় মহুয়া মৈত্রকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন মহুয়া। নদীয়া দক্ষিণের সাতটি বিধানসভার মধ্যে ছ’টিতেই হার হয় তৃণমূলের। এরপর সাংগঠনিকভাবে জেলাকে কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট হিসেবে দু’ভাগে ভাগ করে ঘাসফুল শিবির। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে কিছুদিনের জন্য আসে শঙ্কর সিং। এরপর তাঁকে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হয় রত্না ঘোষ করকে। এরইমধ্যে শান্তিপুর উপনির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে জয় পায় তৃণমূল। পুরসভা নির্বাচনেও জেলায় জয় আসে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে জেলা সভাপতি পদে বসানো হয় তরুণ মুখ দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি থেকে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে মান অভিমানে জেরবার নদীয়া দক্ষিণের সংগঠনকে নতুন করে সাজানো সহজ ছিল না দেবাশিসবাবুর কাছে। বিশেষ করে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বেশকিছু প্রাক্তন ব্লক সভাপতির গোঁসা, দল ছেড়ে নির্দলের টিকিটে অনেকের ভোটে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে বিজেপির লাগাতার আক্রমণকে জেলা সভাপতি হিসেবে সামাল দিতে হয়েছে তাঁকে। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা ৭১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫০টিতেই জয় পাওয়ার পর দলের ভরসাযোগ্য সেনাপতি হয়ে ওঠেন দেবাশিস। জেলা সভাপতির পদে বহাল রেখেই তাঁকে এবার রানাঘাট কেন্দ্রের আসন পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেই দায়িত্ব কতটা সামলাতে পারবেন তিনি? উত্তরে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনে এনে দেবাশিসবাবু বলেন, একটা সময় পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রাদেশিকতার প্রভাব ছিল। সৌরভ গাঙ্গুলি এসে সেটা ভেঙে দিয়েছিলেন। গাঙ্গুলির সময় থেকেই টিম ইন্ডিয়া নতুন করে পরিচিতি পায়। তাই আমার কাছেও সবার আগে দল এবং সম্মিলিত লড়াই আগে। গেরুয়া শিবিরকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে রানাঘাট সংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, অন্তত তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে আমাদের প্রার্থী মুকুটমণি জয় পাবেন। যদিও বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার পাল্টা বলেন, তৃণমূল অঙ্কে বড্ড কাঁচা। তিন লক্ষের ব্যবধানে মুকুটমণিকে আমিই হারাব। হারজিতের আসল ফলাফল সময় বললেও রাজনৈতিক মহল বলছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ নদীয়ায় একাধিক ব্লক সভাপতি পদে রদবদল, দলের নির্বাচনী কমিটিতে ব্লকস্তরের প্রাক্তন সৈনিকদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছেন দেবাশিস। মুকুটমণিকে জেতানোর ক্ষেত্রে যা এবার অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে।