বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
নেতাদের মধ্যেও পরিবর্তন। ডিজে মাইক্রোফোন হাতে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চিৎকারের বদলে তাঁদের গলায় ঝোলানো খোল। এদিন খোল বাজাতে দেখা যায় জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়কে। সেখানেও রাধাকৃষ্ণর বন্দনা। বিষয়টি নজর কেড়েছে শিল্পাঞ্চলবাসীর। শুধু শোভাযাত্রাতেই নয়, বিভিন্ন এলাকার প্রচারেও জয় শ্রীরাম ধ্বনির বদলে এখন সুমিষ্ট রামগান বাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির এই ভোল বদলের পিছনে রাজনৈতিক গন্ধ পেয়েছেন অনেকেই।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ছেলেদের মধ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে যতটা সাড়া পাওয়া যায় অবাঙালি মহিলাদের ক্ষেত্রে তা যায় না। তাঁরা বরং অনেক বেশি রামগান গাইতে স্বচ্ছন্দ। পোড় খাওয়া প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া মহিলাদের এই ‘পালস’ ধরে নিয়ে রামগান বাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ঠিক একই ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস বার বার প্রশ্ন তুলেছে প্রভু শ্রীরামের পাশাপাশি কেন মা সীতার বন্দনা করে না বিজেপি। বিজেপি নারীদের মর্যাদা দেয় না এই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস বার বার তুলেছে। সেই আক্রমণের জবাব দিতেই এখন রাধারানির শরণাপন্ন বিজেপি। তাই রাধার গান বাজানো হচ্ছে বিজেপির প্রচারে।
রাধারানির জয়গান প্রচারের বিষয়টি স্বীকার করলেও এর সঙ্গে রাজনীতিকে যুক্ত করতে রানি নন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা প্রভু শ্রীরামের পাশাপাশি দেশের অন্য দেবদেবীদেরও পুজো করি। আমরা খোল নিয়ে কীর্তনও করি, রাধারানির ভজনও করি। ভারতীয় নারী ও দেবীদের বিজেপি সম্মান করে। তৃণমূল কংগ্রেস নারীদের অপমান করে। তাই তো সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটে। তৃণমূল মুখপাত্র ভি শিবদাসন দাসু বলেন, শিল্পাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন। হাজার হাজার মেয়ে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর টাকা পেয়েছেন। বিজেপি মেয়েদের জন্য কী করেছে? শেষ সময়ে রাধারানিও তাঁদের সহায় হবে না।