সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রির টার্গেট ১৯৫০ কোটি টাকা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য। গত বছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৫০ কোটি টাকা।
প্রতি মাসে টার্গেট বেঁধে রাজস্ব আদায়ে জোর দেওয়া হয়। মে মাসে জেলার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৮০ কোটি টাকা। ভোটের মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যপূরণ হবে কি না, সংশয়ে আবগারি দপ্তর। তবে, ভোটের নির্ঘণ্ট শুরু হতেই রাজস্ব সংগ্রহের থেকে নজরদারির উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। দোকান বন্ধের সময়সীমা হেরফের হওয়ায় সম্প্রতি একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদ দোকানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
ভোটের সময় মদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা সক্রিয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে মদ কিনে বিভিন্ন দোকানে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। মুদি দোকান, সেলুন, খাবারের দোকানে মদ বিক্রি হচ্ছে। গত ১ ডিসেম্বর থেকে এরকম ৪৬ লক্ষ টাকা মূল্যের দেশি ও বিদেশি মদ ও বিয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে মদ কিনে বেআইনিভাবে মজুত করে চড়া দামে বিক্রির বিরুদ্ধেও লাগাতার অভিযান চলছে।
গেঁওখালি, কুঁকড়াহাটির মতো জলপথে বিভিন্ন ফেরিঘাটে আবগারি দপ্তর নাকা চেকিং চালাচ্ছে। আবার দীঘা, এগরার মীরগোদার মতো ওড়িশা সীমানাবর্তী এলাকাতেও নাকা চেকিং চলছে। তবে, গত সাড়ে চার মাসে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সীমানা এলাকায় সবচেয়ে বেশি ধরপাকড় হয়েছে। সবং, ডেবরা এবং দাসপুর এলাকা থেকে চোলাই সাপ্লাইয়ের করিডর গড়েছে পাচারকারীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে পাঁশকুড়া, ময়না এবং ভগবানপুরে চোলাই ঢুকছে। ধৃতদের জেরা করে চোলাই সরবরাহে ওইসব রুট জেনেছেন আবগারি দপ্তরের অফিসাররা। চোলাইয়ের পাশাপাশি ১৯টি সাইকেল ও মোটর সাইকেল ধরা পড়েছে। এছাড়া, দু’টি টোটো ধরা পড়েছে। তার বেশ কয়েকটি পশ্চিম মেদিনীপুরে রেজিস্ট্রেশন করানো।
ভোটের সময় মোটা নগদ অর্থ ও মূল্যবান উপহার সামগ্রী নিয়ে চলাচলে বিধি নিষেধ রয়েছে। এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ফ্লাইং স্কোয়াড। একইসঙ্গে মদের উপরও কড়াকড়ি রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে দোকান খোলা ও বন্ধ করা, একজন বিক্রেতাকে ঊর্ধ্বসীমার মধ্যে বিক্রি করা বাধ্যতামূলক। এনিয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানেও নজরদারি অব্যাহত। পাশাপাশি বেআইনিভাবে মজুত এবং চোলাই সরবরাহের উপর নজরদারি জোরদার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আবগারি দপ্তর।