সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যস্ততা চলাকালীন রক্তের ঘাটতি শুরু হয়। তারপর রমজান মাসে ঘাটতি আরও বাড়ে। মার্চের মাঝামাঝি থেকে ব্যাপক সঙ্কট শুরু হয়। এই সময়ে লোকসভা ভোটের বিধির কারণে রাজনৈতিক ভাবে রক্তদান শিবির করা যায়নি। তাছাড়াও তীব্র গরমের কারণে প্রতিবছরের মতো এবারও সাধারণ ক্যাম্পগুলি বন্ধ থাকায় রক্তের সঙ্কট হয়েছে। মূলত রক্তের পিআরবিসি ও হোল রক্তের ক্ষেত্রেই সব থেকে বেশি সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। আর থ্যালাসেমিয়া রোগীদেরই সব থেকে প্রয়োজন হয় পিআরবিসি-র। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অধীনে প্রায় চার শতাধিক থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছেন, যাঁদের প্রতিমাসে প্রায় আড়াই শতাধিক ইউনিট করে রক্ত দিতে হয়। এছাড়াও হাসপাতালের সাধারণ রোগীদেরও রক্তের প্রয়োজন হয় প্রতি মুহূর্তে। তাই রক্তের ঘাটতির কারণে গরমের মরশুমে কয়েকদিন দারুন ভাবে সমস্যায় পড়েছিলেন রোগীরা। যদিও গত রবিবার থেকে সরকারি উদ্যোগে রক্তদান শিবির আয়োজন করা হচ্ছে। চলতি এপ্রিল থেকে মে মাসের গোড়া অবধি আরও প্রায় দশটির বেশি রক্তদান শিবির আয়োজন করতে চলছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। তবে এই শিবিরগুলি থেকে ঘাটতি অনেকটা মিটে গেলেও গ্রীষ্মে এই সঙ্কট পুরোপুরি মেটাতে বেসরকারি উদ্যোগেও বেশকিছু রক্তদান শিবির খুব জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সেক্ষেত্রে কোনও বেসরকারি সংস্থা, ক্লাব, প্রতিষ্ঠান রক্তদান শিবির আয়োজনে আগ্রহী হলে রক্তের চাহিদা মেটানো আরও সহজ হবে।
সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ল্যাবরেটরি মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গরমের সময় রক্তের একটা সঙ্কট দেখায় যায় প্রতিবছর। রবিবার থেকে সরকারি উদ্যোগে রক্তদান শিবির শুরু হয়েছে। তাই সঙ্কট খানিকটা কমেছে। মে মাসের প্রথম দিক অবধি আরও দশটির বেশি শিবির করার পরিকল্পনা আছে। যদি বেসরকারি উদ্যোগেও রক্তদান শিবির করা যায় তাহলে খুবই ভালো হয়। গরমে রক্তের ঘাটতি মিটলে রোগীদের অনেকখানি সুরাহা হবে।