সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ঝাপটেরঢাল স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কাগজে নাম দেওয়া যাবে না এই শর্তে তিনি কথা বলা শুরু করলেন। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল নেই তো কী হয়েছে, তাঁর লোকজনরা তো রয়েছে। তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁদের নির্দেশেই গুসকরা সহ বিভিন্ন এলাকার বিরোধীদের টাইট দেওয়া হয়েছিল। অনেকে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখন দলের কাউকে দেখা যায়নি। নেতাদের মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তাঁরা তোলেননি। তাহলে কোন সাহসে কর্মীরা ময়দানে নামবে বলুন তো?
মঙ্গলকোটে লোচনদাস সেতুর কাছে দেখা হওয়া সুবর্ণ দাস নামে এক ব্যক্তির গলাতেও একই সুর শোনা গেল। তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর মঙ্গলকোটে বিজেপি কোনও কর্মসূচি নেয়নি। ওদের নেতাদেরও দেখা যায়নি। এই এলাকায় তাদের সমর্থক রয়েছে। কিন্তু তাঁদের বুথে নিয়ে যাওয়ার মতো বিজেপি নেতা নেই। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, পাঁচ বছরে এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে সাংসদ উল্লেখযোগ্য তেমন কোনও কাজ করেননি। কিন্তু তারপরও বোলপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর পাশেই রয়েছে এই তিন এলাকা। প্রচারে বিরোধীদের কয়েক কদম পিছনে ফেলে দিয়েছে শাসক দল। মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হাতেগোনা কয়েকটি জায়গায় বিজেপির পতকা দেখা গেল। গুসকরা শহরে বিজেপির পতাকা কোথাও কোথাও রয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত এলাকায় নেতা-কর্মীদের সেই সক্রিয়তা নেই। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিবছর নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডল গুড় বাতাসা, নকুল দানা বা চড়াম চড়াম-বাণীর মাধ্যমে ‘ভয়ঙ্কর খেলার’ বার্তা পৌঁছে দিতেন। তাতেই বিরোধীরা চমকে যেতেন। কিন্তু ‘কেষ্ট’ তিহার জেলে বন্দি। তারপরও বিরোধীদের জড়তা কাটেনি। বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ের অভিজ্ঞতাতেই বিরোধীরা চুপসে রয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত প্রান্তের গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের দাবি, দুর্দিনে নেতাদের পাওয়া যায়নি। যদিও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, এখন আমি এসে গিয়েছি। এখন আর ওসব হবে না। আমরা এখন প্রচার শুরুই করিনি। তৃণমূল হাঁপিয়ে যাওয়ার পর আমরা প্রচার শুরু করব। সবাই একসঙ্গে প্রচার করবে। আমাদের দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। ওইসব তৃণমূলের রয়েছে।
মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা অপূর্ব চৌধুরী বলেন, মানুষ উন্নয়ন দেখে ভোট দেন। বিজেপি বঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই করেনি। ওরা ভোট চাইবে কোনও মুখে।