বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্বপনবাবু এদিন অভিযোগ করেন, কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে কয়েকদিন আগেও এখানকার টিচার ইনচার্জকে হেনস্তা করা হয়েছে। সার্ভিস বুকে সই করে দেওয়ার জন্য তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু যিনি মাত্র একদিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ আছেন, তিনি কী পারেন সার্ভিস বুকে সই করে দিতে। তাঁকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। যাঁরা করেছেন তাঁরা যদি আমাদের দুর্বল ভাবেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে এবার আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। তবে, এদিন স্বপনবাবু ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, এখানে অনেকেই আছেন যাঁরা আগের জমানায় কলেজ তৈরি হওয়ার সময়ে পরীক্ষায় পাশই করেননি। তাঁরা আগেই কলেজের কাজের জন্য নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন। তাহলে এগুলি তুলে ধরতে হবে আমাদের।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকায় মাত্র একদিনের জন্য কলেজের শিক্ষক অপূর্ব পালকে ভারপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, ওইদিন বেশ কিছু শিক্ষক অপূর্ববাবুকে হেনস্তা করেন। তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে শিক্ষকদের সার্ভিস বুকে সই করে দেওয়ার জন্য। এদিন অপূর্ববাবুকে হেনস্তার ঘটনা বৈঠকে ওঠে। কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন ঘোষাল শিক্ষকদের এমন আচরণের কথা মন্ত্রী সহ পরিচালন সমিতির অন্যান্য সদস্যদের কাছে জানান। সূত্রের খবর, এরপরেই প্রচণ্ড রেগে যান স্বপনবাবু। তিনি তড়িঘড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাসকে পরিচালন সমিতির বৈঠকে ডেকে ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। এই ঘটনায় পুলিসের পক্ষ থেকেও লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
অপূর্ববাবু বলেন, যা বলার আমি কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে বলেছি। তবে, এটা সত্যি যে আমাকে সেদিন হেনস্তা করা হয়েছিল। এটা সবাই জানে। এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন ঘোষাল বলেন, আমি আর কিছুদিনের মধ্যেই অবসর নেব। তাই আমি ওই শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে চাইছি বলে কিছু শিক্ষক ইউনিয়ন তৈরি করার নাম করে কলেজের ভিতরে ঘর দখল করে বসে এসব করছে। আমি রাজ্যের মন্ত্রীকে এসব ঘটনা বলেছি।
এদিন মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার আসার পর এই কলেজের উন্নতির জন্য এখানকার কারিগরি শিক্ষার নানা যন্ত্রপাতি কেনার জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়েছেন। এর আগে এই খাতে ৮০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একটি ছাত্রী নিবাসের জন্য ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। আবার নতুন করে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটাও মঞ্জুর হয়ে যাবে। কিন্তু কিছু লোক মাঝেমধ্যেই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উস্কে দিয়ে কলেজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। এসব আমরা চলতে দেব না। এদিন কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ, ভাতারের বিধায়ক সুভাস মণ্ডল ছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা।