বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ায় মনসাপুজো উপলক্ষে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। এই পুজো উপলক্ষে জেলার জঙ্গলমহল এলাকা থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্রই হাঁসবলি এবং পাঁঠাবলির রীতি রয়েছে। তবে হাঁসবলির সংখ্যাটাই বেশি। পুজোয় বলির জন্য এই সময় হাঁসের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। স্থানীয় হাটগুলিতে কয়েকদিন আগে থেকেই বিক্রি শুরু হলেও পুরুলিয়া শহর এবং শহর সংলগ্ন একাধিক এলাকায় পুজোর দিনেই সবচেয়ে বেশি হাঁস বিক্রি হয়। এদিন আড়ষা থানার সেনাবনা হাট ছাড়াও জেলার একাধিক সাপ্তাহিক হাটে হাঁসের চাহিদা তুঙ্গে ছিল।
এদিন পুরুলিয়া শহরে হাঁস বিক্রি করছিলেন হুগলির পান্ডুয়ার শেখ রহিম, বর্ধমানের রসুলপুরের শেখ ফটিক, রমজান আনসারি প্রমুখ। তাঁরা বলেন, চাহিদা থাকলেও অন্যান্য বারের তুলনায় এবার অনেক কম হাঁস আনা হয়েছে। প্রতিবার হাঁস আনার সময় রাস্তায় পুলিসের হেনস্তার শিকার হতে হয়। তাই এবার কেউ বেশি ঝুঁকি নেয়নি। এবার বাইরে থেকে শুধু পুরুলিয়া শহরে ১০হাজারেরও বেশি ক্যাম্বেল হাঁস আনা হয়। বেশিরভাগটাই এদিন দুপুরের মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ক্যাম্বেল হাঁস ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। তবে দেশি হাঁসের দাম ও চাহিদা দু’টোই বেশি ছিল। অনেকে আবার আমাদের কাছ থেকে ক্যাম্বেল হাঁস কিনে ঝুড়িতে করে দেশি হাঁস বলে বিক্রি করেছে চড়া দামে।
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা অনিমেষ মাহাত, অজিত গড়াই বলেন, পুজোর জন্য দেশি হাঁসই দরকার। তবে অনেকে দেশি হাঁস না পেয়ে ক্যাম্বেল হাঁস কিনতে বাধ্য হন।
আড়ষা এলাকার বাসিন্দা রামপ্রসাদ মাহাত বলেন, সেনাবনা হাটে অনেকেই এদিন হাঁস কিনেছেন। তবে গ্রামে যাঁদের বাড়িতে হাঁস ছিল তা গ্রামের লোকেরা আগেই কিনে নিয়েছেন। কারণ, হাটে দেশি ও ক্যাম্বেল হাঁসের মধ্যে অনেকসময় পার্থক্য বোঝা মুশকিল।
রবিবার দুপুরে পুরুলিয়া শহরে হাঁস কিনতে এসে খালি হাতেই ফেরেন দুবচড়কার সঞ্জয় গড়াই। তিনি বলেন, অন্যান্যবার পুজোর দিন বিকেল পর্যন্ত হাঁস বিক্রি হয়। এদিন তো দুপুরের মধ্যেই শহরের বাজারে হাঁস শেষ। দেশি হাঁস শেষ সময়ে ৪০০টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। শহরে না পেলেও অন্য হাট থেকেও হাঁস কিনতেই হবে।
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা রাকেশ রায়, শিবম ধীবর বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন দেশি হাঁস প্রায় ১০০টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। তবে দুপুরের পর দাম আরও বাড়ে। এদিন সব মিলিয়ে জেলায় কয়েক লক্ষ টাকার হাঁস বিক্রি হয়েছে।