একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
কোলাঘাট ব্লকের বাবুয়া মৌজায় আগে থেকেই বাঁধে ফাটল ছিল। বাঁধ বরাবর পিচরাস্তা হয়েছে। তমলুক-কোলাঘাট রুটের ট্রেকার চলে ওই বাঁধ বরাবর। দিন কয়েক আগে থেকে ফাটল দেখা দিলেও তা মেরামত করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এরপর গত দু’দিনের বৃষ্টিতে সেই ফাটল বরাবর বিরাট এলাকাজুড়ে ধস নেমেছে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কোলাঘাটের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষজন।
ধস নামার খবর পেয়ে শনিবার বিডিও এবং সেচ দপ্তরের অফিসাররা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু, সেচদপ্তর সময়মতো কাজ না করায় স্থানীয়রা তাঁদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাহানারা বেগম বলেন, এখানে আগে থেকে বাঁধে কাজ করার দরকার ছিল। কিন্তু, সেচদপ্তর বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি। আমরা বহুবার বাঁধ সংস্কার করার কথা বলেছি। ভাদ্র মাসে ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল আছে। তখন বাবুয়া মৌজায় এই বাঁধের পরিস্থিতি কী হবে তানিয়ে সকলেই উদ্বিগ্ন।
বিডিও বলেন, ধস নামার খবর পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। সেচ ও জলপথ দপ্তরের তমলুক ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আমলহাণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই ধস কবলিত এলাকা শনিবার পরিদর্শন করেছেন দপ্তরের অফিসাররা। আমরা জরুরি ভিত্তিতে সেখানে কাজ করব। তারপর পরবর্তী সময়ে বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শামির হোসেন বলেন, এখানে বাঁধ মেরামত করার জন্য গত ১২ জুলাই আমরা সেচ দপ্তরের এসডিও-র সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে এসডিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপর এখানে একটি মেয়ে পড়ে যায়। সেচ দপ্তর আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শুরু না করলে আমরা রাস্তা কেটে দেব।
জেলার বন্যা ভাঙন ও খরা প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক নারায়ণ নায়েক বলেন, হাওড়া জেলার দিকে চর তৈরি হওয়ায় কোলাঘাটের বাবুয়া মৌজায় দিকে রূপনারায়ণের ভাঙন শুরু হয়েছে। বাঁধ বরাবর ধস নামছে। জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। তা না হলে হাজার হাজার মানুষ বিপদের মুখে পড়বে।