বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুঞ্চা থানার নপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ সেন ওই রাতে ছুরিকাহত হন। তিনি নপাড়া এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন। রবিবার রাতে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য গাড়ি করে কাঞ্চনপুর এলাকায় চিকিৎসকের কাছে যান রাজেশবাবু। স্ত্রী ছাড়াও রাজেশবাবুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর আত্মীয় শ্যামল দত্ত। সেখান থেকে ফেরার পথে ধাদকি এলাকায় আক্রান্ত হন ওই তৃণমূল নেতা। শ্যামলবাবু বলেন, চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময়ও ধাদকি এলাকায় গাড়িতে পাথর ছোঁড়ে অভিযুক্ত যুবক। সেই সময় গাড়ি থেকে নেমে ঘটনার প্রতিবাদ করলেও পরিবারের বাকিরা থাকায় কথা না বাড়িয়ে চিকিৎসকের কাছে চলে যাই। ফেরার পথে বেশ খানিকটা রাস্তা ধাদকি গ্রামেরই দু’জন যুবক গাড়িটি ধাওয়া করে। ধাদকি গ্রামেই ফাঁকা জায়গায় পথ আটকায় ওই যুবকরা। আমি প্রথমে গাড়ি থেকে নেমেছিলাম। আমার সঙ্গে বচসাও শুরু হয়। সেই ঝামেলার মাঝেই রাজেশও গাড়ি থেকে নামতে যাচ্ছিল। গাড়ি থেকে নামার মুহূর্তে ওকে লক্ষ্য করে ছুরি চালায় ওই যুবক।
শ্যামলবাবু আরও বলেন, ভাগ্যক্রমে রাজেশ নিজের হাত তুলে বাঁচার চেষ্টা করে। তাই গলায় ছুরি চালাতে পারেনি ওই যুবক। রাজেশের বুকের পাশে ছুরির আঘাতে গভীর ক্ষত হয়। ঘটনার পরই ওই দু’জন যুবক এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। ওই যুবক রাজেশকে প্রাণে মেরে ফেলতেই চেয়েছিল। রাতেই এবিষয়ে পুঞ্চা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এবিষয়ে জখম তৃণমূল নেতা রাজেশ সেন বলেন, ওই যুবককে চিনতে পেরেছি। ধাদকি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক পেশায় একটি বিমা সংস্থার এজেন্ট। স্থানীয় বহু মানুষের কাছে টাকা নিয়েও ওই যুবক বিমা সংস্থায় টাকা জমা দেয়নি। এবিষয়ে অনেকদিন আগে একবার সাধারণ মানুষের হয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। ওই যুবক বিজেপি দল করে। ভোটের সময়ও আমাকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছিল। তৃণমূল দল ছাড়তে বলেই ওই যুবক হুমকি দিত। এনিয়ে ভোটের সময়ও ঝামেলা হয়েছিল। আমি তৃণমূলের বুথ সভাপতি হয়ে ওর অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতেই রবিবার ও আমার উপর হামলা করল। দোষী ওই যুবকের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, এদিনই সদর হসাপাতালে জখম তৃণমূল নেতাকে দেখতে যান তৃণমূলের একাধিক জেলা নেতা। এবিষয়ে পুঞ্চা ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মাহাত বলেন, নপাড়া ৩ বুথের সভাপতি আক্রান্ত হয়েছেন। ওঁকে যে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে সে বিজেপি কর্মী। ঘটনায় দোষী যুবকের দ্রুত শাস্তির দাবি করছি।
ঘটনার বিষয়ে বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এলাকায় যেভাবে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করেছে তাতে এধরনের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। পুরুলিয়া জেলায় যা ঘটনা ঘটছে তাতেই বিজেপির নামে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল। পুঞ্চার ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমা সংস্থার টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করার পরেও অফিসে জমা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে অভিযুক্ত যুবকের। বিমা সংস্থার টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে নাকি অন্য কোনও বিষয়ে তৃণমূল নেতার সঙ্গে ওই অভিযুক্ত যুবকের ঝামেলা ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুঞ্চা থানার পুলিস।