বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী এলাকায় তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের ঘনিষ্ঠ। তাই, মামলার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। শুক্রবার রাতে খণ্ডঘোষ থানার বেড়ুগ্রামের দিঘিরপাড় এলাকায় মিষ্টির দোকানের সামনে থেকে গোপাল পাল(৬১) নামে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। মৃত ব্যক্তি তাদের দলের সমর্থক বলে দাবি করে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন এই খুনের সঙ্গে যুক্ত। ওই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে ময়না তদন্তের পর বাদুলিয়া মোড়ে বর্ধমান-আরামবাগ রোড অবরোধ করে বিজেপি। সেখানে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপির সংসদ সদস্য। খণ্ডঘোষ থানার ওসির অপসারণের দাবির পাশাপাশি দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন তিনি। ওসির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন বিজেপির সংসদ সদস্য। পরে এসডিপিও-র আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। সুরাবউদ্দিনের অভিযোগ, একটি অপমৃত্যুকে ঘিরে রাজনীতি করছে বিজেপি। রাস্তা অবরোধ করে ওসির নামে আজেবাজে মন্তব্য করা হয়েছে। এমনকি উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলা হয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, একজন সংসদ সদস্য রাস্তায় বসে গাড়ি আটকে দিচ্ছেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুকে খুন বলে চালানোর চেষ্টা করছেন। এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। তারজন্য ওই ব্যক্তি মামলা করেছেন। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
সৌমিত্রবাবু বলেন, পুলিস এর আগেও আমার নামে অনেক মামলা করেছে। পুলিস যে আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে এতে আমি বিস্মিত নই। তবে এভাবে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। খুনের ঘটনাকে অপমৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। আসল ঘটনা সামনে আনার জন্য আন্দোলন চলবে। ওসির অপসারণের দাবি থেকে কোনও ভাবেই নড়ব না। এদিকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গোপালবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে বলে পুলিসের দাবি। শনিবার রাতে মৃতদেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় গ্রামে পুলিস পিকেট রয়েছে। তবে, গোপালবাবুর মৃত্যুর কারণ নিয়ে সর্বত্র চর্চা চলছে।