বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তাররা কর্মবিরতি ও অবস্থান আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। সেই মতো তাঁরা এদিন সকালে হাসপাতালের কাজে যোগ দেন। নির্দিষ্ট সময়েই হাসপাতালের আউটডোর খোলা হয়। এজন্য ছ’টি কাউন্টার খুলে টিকিটও বিলি করা হয়। কিন্তু, এদিন আউটডোরে স্বাভাবিক দিনের চাইতে রোগীর সংখ্যা প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার কম ছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের আউটডোরে ২০টি বিভাগ রয়েছে। নিয়মমতো এদিন সকাল ৯টা নাগাদ সমস্ত বিভাগের কাজে চিকিৎসক ও কর্মীরা যোগ দেন। দুপুর ২টো পর্যন্ত আউটডোর খোলা ছিল। নির্ধারিত এই সময় পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে আউটডোরে হাজির হয়েছিলেন মাত্র ২১০০ রোগী। জুনিয়ার ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে নামার আগে পর্যন্ত আউটডোরে রোগী হতো প্রায় ৫০০০। এছাড়া, এদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে ২১০জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, টানা ছ’দিন ধরে হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ ছিল। এদিন যে আউটডোর খুলেছে, তা হয়তো অনেকে জানেন না। বিষয়টি সেভাবে প্রচারও হয়নি। হয়তো সেজন্যই এদিন আউটডোরে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম হয়েছে। তবে, এদিন অপারেশন থিয়েটারে ১০টি টেবিলই সচল ছিল। জরুরি ভিত্তিতে সঙ্কটজনক রোগীদের অপারেশন যেমন করা হয়েছে, তেমনি পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি মেনে কয়েকজন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। জুনিয়ার ডাক্তার তুহিন খান বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। সোমবার রাত থেকে হাসপাতালে রোগী দেখা শুরু করেছি।
এদিকে, অবাঞ্ছিত লোকদের প্রবেশ রুখতে হাসপাতালের ইন্ডোরের গেটে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় এদিন। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের আগে রোগীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার দাবিতে হাসপাতাল সুপারের সামনে কয়েকজন রোগীর আত্মীয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাসপাতাল সুপার অবশ্য বলেন, কয়েকজন রোগীর আত্মীয় অন্যায় আবদার করছিলেন। তবে ঘটনাটা তেমন কিছু নয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে ১২টা এবং বিকাল ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন রোগীর আত্মীয়রা। এজন্য গেটে মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষীর কাছে সাদা কার্ড দেখাতে হবে রোগীর আত্মীয়দের। এর বাইরে সঙ্কটজনক রোগীর কাছে তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে একজন সর্বক্ষণ থাকতে পারবেন। এজন্য নিয়ম মেনে রোগীর আত্মীয়কে হাসপাতাল থেকে সবুজ কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।