বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৬টি এই জেলার অন্তর্গত। ওই লোকসভার অন্তর্গত রঘুনাথপুর বিধানসভা পুরুলিয়া জেলার আওতায়। অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের ৬টি বিধানসভাও বাঁকুড়ার জেলার আওতায়। ওই লোকসভার অন্তর্গত খণ্ডঘোষ বিধানসভা পূর্ব বর্ধমান জেলার আওতায় রয়েছে। বাঁকুড়া লোকসভার অন্তর্গত শালতোড়া বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী ৮৯ হাজার ৭৩টি ভোট পেয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৭৪ হাজার ১৭টি ভোট। ওই কেন্দ্রে বিজেপি ১৫ হাজার ৫৬ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে। ছাতনা বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী ৯৫ হাজার ৬৬১টি ভোট পেয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৭৯টি ভোট। ওই কেন্দ্রে বিজেপি ৩১ হাজার ১৮২ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে। রানিবাঁধ বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী ৯৩ হাজার ৯৫৬টি ভোট পেয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৭৮ হাজার ১৪২টি ভোট। ওই কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের ব্যবধান ১৫ হাজার ৮১৫। রাইপুর বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী পান ৮৩ হাজার ৭৭৪টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৮০ হাজার ৪২৩টি ভোট। ওই কেন্দ্রে বিজেপি ৩ হাজার ৩৫১ ভোটের ব্যবধানে জয় পায়। তালডাংরা বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী ৮৭ হাজার ৮২৬টি ভোট পেয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৭০ হাজার ৫৫৮টি ভোট। ওই কেন্দ্রে বিজেপি ১৭ হাজার ২৬৮ ভোটের ব্যবধানে জয় পায়। বাঁকুড়া বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮০টি ভোট পেয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৩০৪টি ভোট। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ৪৬ হাজার ৭৭৬ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।
অর্থাৎ বাঁকুড়া বিধানসভায় গেরুয়া ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। বাঁকুড়া শহরে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার প্রায় ২৩ হাজার ভোটে লিড নিয়েছেন। শহরের ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে একমাত্র ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। বাকি ২৩টি ওয়ার্ডে বিজেপি বড় ব্যবধানে এগিয়ে। শহরের ১৩৯টি বুথের মধ্যে তৃণমূল মাত্র ১০টি বুথে এগিয়ে রয়েছে। জঙ্গলমহলের মধ্যে রাইপুর কিছুটা তৃণমূলের মুখ রক্ষা করেছে। অন্যদিকে, তালডাংরা এবং রানিবাঁধে ঘাসফুল শিবির গেরুয়া সুনামিতে পর্যুদস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত ওন্দায় বিজেপি ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৮টি এবং তৃণমূল ৮০ হাজার ৪১৫টি ভোট পেয়েছে। বিজেপি ২৬ হাজার ৩৭৩ ভোটে জয় পেয়েছে। ওন্দার বিধায়ক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ। ফলে ওন্দার এই হারে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়েছে। বড়জোড়ায় বিজেপি ও তৃণমূল যথাক্রমে ৯১ হাজার ৭৩৬ এবং ৮০ হাজার ১১৬টি ভোট পেয়েছে। ওই বিধানসভায় বিজেপি ১১ হাজার ৬২০টি ভোটে লিড পেয়েছে। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে বিজেপি ৮৯ হাজার ৮০৬ এবং তৃণমূল ৬৬ হাজার ৯৮৮টি ভোট পেয়েছে। সেখানে গেরুয়া শিবির ২২ হাজার ৮১৮ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি ৯৭ হাজার ৯০৭টি এবং তৃণমূল ৮৮ হাজার ৮০৮টি ভোট পেয়েছে। ওই বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী ৯ হাজার ৯৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ইন্দাসে বিজেপি ৯৮ হাজার ১৮৪ এবং তৃণমূল ৮৪ হাজার ৫৯১টি ভোট পেয়েছে। বিজেপি ইন্দাসে ১৩ হাজার ৫৯৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। সোনামুখীতে বিজেপি ৯৮ হাজার ৯৮৩ এবং তৃণমূল ৭৫ হাজার ১৪৮টি ভোট পেয়েছে। সেখানে বিজেপি ২৩ হাজার ৮৩৫ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। সবমিলিয়ে জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি জয়ের হাসি হেসেছে।