একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্থাটি সামুদ্রিক মাছের গুরুত্ব এবং গুণাগুণ সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতে এই সি-ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে আসছে। যা দীঘা মোহনার গঙ্গোৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এবং এই উৎসবের গুরুত্ব অনেকগুণ বাড়িয়ে তোলে। প্রথম দিনেই উৎসব প্রাঙ্গণে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় আসা মানুষজন তো বটেই, দীঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকরাও এই সি-ফুড ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে ভিড় জমিয়েছেন। গঙ্গোৎসব উপলক্ষে মেলায় আসা মানুষজন কেউ বসে রান্না করা নানা সামুদ্রিক মাছের পদের স্বাদ গ্রহণ করছেন, তো কেউ আবার তা ব্যাগে পুরে বাড়িও নিয়ে যাচ্ছেন। দীঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যে এই সি-ফুড ফেস্টিভ্যালের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস ও সভাপতি প্রণব কর বলেন, প্রতিবছরই গঙ্গোৎসব উপলক্ষে এই সি-ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। আর প্রতিবারই ভালো সাড়া পাওয়া যায়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এই ফেস্টিভ্যালে ৩০রকমের সামুদ্রিক মাছের রান্না করা পদ যেমন রয়েছে, তেমনি ১৪০রকমের জানা-অজানা সামুদ্রিক মাছের প্রদর্শনীও রয়েছে। যাঁরা এই সমস্ত সামুদ্রিক মাছ দেখেননি, তাঁরা রীতিমতো আগ্রহ নিয়েই দেখছেন। সেই সমস্ত মাছ সম্পর্কে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে বিশদভাবে জেনেও নিচ্ছেন।
সপরিবারে দীঘায় বেড়াতে এসে গঙ্গোৎসব প্রাঙ্গণে এসেছিলেন কলকাতার খিদিরপুরের অমিত রায়। এবারই প্রথম তাঁরা দীঘা মোহনায় সি-ফুড ফেস্টিভ্যালে এলেন। অমিতবাবু সহ পরিবারের লোকজন রান্না করা সামুদ্রিক মাছের নানা পদ যেমন চেখে দেখলেন, তেমনি তাঁরা ব্যাগে পুরে নিয়েও গেলেন। অমিতবাবু বললেন, দীঘা মোহনায় সি-ফুড ফেস্টিভ্যালের কথা আগে শুনেছিলাম। কিন্তু এবার এখানে এসে খুবই ভালো লাগল। এত রকমের সামুদ্রিক মাছের রান্না করা পদ এবং এত জানা-অজানা সামুদ্রিক মাছের প্রদর্শনীর সম্ভার এর আগে আমরা আর কোথাও দেখিনি। দীঘা মোহনায় এসেই সেই সুযোগ পেলাম। এবার থেকে তো প্রতিবছরই আমরা দীঘা মোহনায় সি-ফুড ফেস্টিভ্যালে আসব। সব মিলিয়ে দীঘা মোহনায় সি-ফুড ফেস্টিভ্যাল বেশ জমে উঠেছে।