একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন অসমের তেজপুরের বাসিন্দা নন্দ বোড়ো তাঁর বউ মিঞ্জু ও বোন শ্রীরাজ বোড়োকে নিয়ে ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কিতে আসেন। তবে নেপালে প্রবেশের জন্য মেচি সেতুর দিকে যেতেই এসএসবি জওয়ানরা বাধা দেন। তাঁরা এ ব্যাপারে জানতে জিজ্ঞাসা করলে এসএসবি জানায় সীমান্ত সিল রয়েছে। ভোটের কারণেই সীমান্ত বন্ধ। যদিও তাঁদের এদিনই চিকিৎসক দেখানোর জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকায় তাঁরা বিপাকে পড়েন। পরে তাঁদের ফিরে যেতে হয়।
নন্দবাবু বলেন, আমি পেশায় চাষি। কোনওমতে কিছু টাকা জোগাড় করে চোখের চিকিৎসা করাতে নেপালে যাচ্ছিলাম। এজন্য বৃহস্পতিবারই ট্রেনে চেপে অসম থেকে এনজেপির উদ্দেশে রওনা হই। তবে ভুলবশত এনজেপিতে না নেমে কিষানগঞ্জে চলে যাই। পরে সেখানে থেকে ডেমু ট্রেন ধরে নকশালবাড়িতে আসি। এদিনই পানিট্যাঙ্কিতে এসেছি। তবে এখানে এসে জানতে পারি ভোটের জন্য সীমান্ত সিল এখন। অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা মহম্মদ কুতমুদ্দিন তাঁর ভাইপো মহম্মদ সাফিকের চোখের চিকিৎসা করাতে নেপালের ধারানে যেতে এদিন সীমান্তে আসেন। কুতমুদ্দিন বলেন, ভোটের বিষয়টি জানা ছিল না। এখন শনিবার যেতে দেবে বলছে এসএসবি। এজন্য হোটেলে রাত কাটাতে হবে।
এদিকে সিকিমের দাদুংয়ের বাসিন্দা ডি বি ছেত্রী পরিবার নিয়ে নেপালের সুরঙ্গায় আত্মীয়ার বাড়ির উদ্দেশে যেতে চেয়েছিলেন পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে। তাঁকেও সীমান্ত থেকে ফিরে যেতে হয়। উল্লেখ্য, ভোটের জন্য ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সীমান্ত সিল করা হয়েছে। যা শুক্রবার রাত পর্যন্ত লাগু থাকছে। তবে মেডিক্যাল এমার্জেন্সি, অপরিহার্য পণ্য ও ভারতীয় পর্যটকরা নথি দেখালে নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। তাছাড়া নেপালের নাগরিকদের পানিট্যাঙ্কি দিয়ে নেপালে প্রবেশের ছাড়পত্র রয়েছে।
স্বাভাবিকদিনে পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে দু’দেশের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রোজ চলাচল করে। যদিও গত তিনদিন ধরে সীমান্ত সিল থাকায় ঝাঁপ বন্ধ পানিট্যাঙ্কি বাজারের। অপরিহার্য পণ্যের গাড়ি ছাড়া ২ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।