একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিনই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার (সমতল) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত। অভিযোগ, প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পরও প্রার্থী ভাড়া করা বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা বলেন, জেলাবাসীর কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ফল ভালো হবে বলে আশাবাদী।
উল্টো দিকে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা পাহাড়ের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। তিনি এলাকার বিদায়ী সাংসদ। এদিন নিজের ভাড়া বাড়িতেই ছিলেন। সেখানেই তাঁর অফিস। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর অফিসে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা হানা দেন। বিজেপি প্রার্থী অবশ্য বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়নি। এনিয়ে কমিশনই যা বলার বলবে।
কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট প্রার্থীও ঘাঁটি গেড়েছেন শিলিগুড়িতে। সংশ্লিষ্ট তিন প্রার্থী ছাড়াও বাকি ১১ প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতীক চিহ্ন বিভিন্ন রকমের। সেই তালিকায় কর্ষণ যন্ত্র, অটো রিকশ, ছড়ি, টর্চ, টিউবলাইট, ফুটবল খেলোয়াড়, কম্পিউটার, দরজার ঘণ্টা, সেফটি পিন ও বেহালাও আছে। শুক্রবার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু। এই আসনের অন্তর্গত দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া ও চোপড়া, এই সাত বিধানসভা কেন্দ্রের ১৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৪৪ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পুরুষ ভোটার ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৩৫ এবং মহিলা ৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬৮ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪১ জন। কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এই চার কেন্দ্রেই মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। ভোটের ময়দানে যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি ও ইসলামপুরের পাঁচটি ডিসিআরসি থেকে ভোটকর্মীরা বুথের উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা সেখানে ভোটকর্মী ও পুলিসের ভিড় ছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই আসনে ১৯৯৯টি বুথের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ৮৭৯৬ জনকে। এরমধ্যে মহিলাও রয়েছেন। ইভিএম, বেডরোল, প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স, ওআরএস সহ সশস্ত্র প্রহরায় তাঁরা বুথে যান।