ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা থেকে ৫৬ হাজার ৭৬২ ভোটে লিড পেয়েছিল বিজেপি। এবার তার কতটা ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কালিয়াগঞ্জ বিজেপি প্রার্থীর খাসতালুক। তিনি শুধু কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দাই নন। কার্তিক কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তাঁর নিজের গড়েই কার্যত এখন ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই দলবদলু বিধায়ক। কারণ তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দলের একাংশ কর্মী, সমর্থক বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তারপর দীর্ঘদিন এলাকায় দেখা যায়নি দলবদলু বিধায়ককে। যদিও সৌমেন রায়ের বক্তব্য, আমি দায়িত্ব পালনে কোনও ত্রটি রাখছি না। দলীয় কর্মীদের আমাকে নিয়ে কোনও ক্ষোভবিক্ষোভের কথা জানা নেই। তা ছাড়া একজন বিধায়কের এখন আর বুথে বুথে বৈঠক করার সময় নেই। দল যখন যেখানে পাঠাচ্ছে, সেখানে গিয়ে প্রচার করতে হচ্ছে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে সৌমেন রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপর লোকসভা ভোটের মুখে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই তিনি আবার বিজেপিতে ফেরেন। যা দলের নিচুতলার কর্মীরা অনেকেই মেনে নেননি। ‘ঘর ওয়াপসি’র পর সৌমেন রায় ২৭ মার্চ নিজের কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জে ফিরতেই তাঁকে দলীয় কর্মীদের রোষের মুখে পড়তে হয়। কী ভাবে ভোটের মুখে কাজে লাগানো হচ্ছে বিধায়ককে? কার্তিকচন্দ্র পালের জবাব, যখন যেখানে কাজে লাগানোর, সৌমেনবাবুকে সেভাবেই ব্যবহার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী জনসভা থেকে শুরু করে যে কোনও বড় দলীয় কর্মসূচিতে বিধায়ককে দেখা গেলেও প্রার্থীর সঙ্গে কালিয়াগঞ্জের প্রচারে কার্যত দেখা যায়নি। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালে কার্তিক পাল নিজের শহর কালিয়াগঞ্জে প্রচার করেন। সেখানেও দলের স্থানীয় বিধায়ককে দেখা যায়নি। এদিন দুপুরে যদিও হেমতাবাদে দলের এক শীর্ষ নেতৃত্বের সভায় বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে।
এদিকে নিজের কেন্দ্রে লিড ধরে রাখতে কালিয়াগঞ্জে মাটি কামড়ে প্রচার চালাচ্ছেন কার্তিক। তিনি রায়গঞ্জ কেন্দ্রের সাতটা বিধানসভাতেই প্রচার করেছেন। তবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকাতেই সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছে তাঁকে।