পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
কিল, চড়, ঘুষিতে আহত দুই শিক্ষকই মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছোটেন। একে অপরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও করেছেন মানিকচক থানায়।
এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ বাদিউজ্জামান ও সহকারি প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ে ঢোকা ও বেরোনোর সময় রেজিস্ট্রারে সময় উল্লেখ করে সই করার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই নির্দেশ মেনে চলতে বলা হয়। সেই নতুন নিয়ম নিয়ে বচসার সূত্রপাত। এদিন সহকারী প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের টিফিন চলার সময় বাইরে বেরোতে গিয়ে দেখেন মূল দরজা বন্ধ ছিল। চাবি চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক প্রথমে দিতে অস্বীকার করেন এবং সই করে বেরোতে বলেন। দুই শিক্ষকের মধ্যে এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল বচসা। অভিযোগ, তখনই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক একে অপরের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, কোনওরকম মিটিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষক ফতোয়া জারি করেছেন। নির্দেশ না মানায় প্রধান শিক্ষক কিল, ঘুষি মারেন। এমনকী কানের কাছে কামড়ের দাগও রয়েছে। মানিকচক হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজের মর্জিমতো বিদ্যালয় চালানোর পরিকল্পনা করছেন। সবসময় নিজের দাপট দেখান। বিদ্যালয়ে ঢোকা ও বেরোনোর যাবতীয় তথ্য রাখার জন্য খাতা করা হয়েছে। কিন্তু সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়ম মানবেন না। আজ বাইরে যেতে চাবি চান, বারণ করায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। চাবি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই আমাকে মারধর করেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসার পর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষা ছাড়া অন্যকিছু কাম্য নয়। যেভাবে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক সংঘর্ষে জড়িয়েছেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।
মানিকচক থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, দু’পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। স্কুল সংক্রান্ত নাকি অন্য কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে খতিয়ে দেখতে হবে। জখম সহকারী প্রধান শিক্ষক। - নিজস্ব চিত্র।