একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
ঘাটালের দলীয় প্রার্থী দেব এবং ঝাড়গ্রামের কালীপদ সরেনের সমর্থনে পিংলা ও গড়বেতায় দু’টি সভা করেন মমতা। পরিবেশের তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে রাজনীতির উত্তাপেই গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিকে বেআব্রু করে দেন তিনি। চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক রং’ মাখিয়ে ভোট বাজারে পরিবেশন করার ক্ষেত্রে রামের দোসর হয়েছে বামেরাও। আর তাই সিপিএমকেও এক সারিতে রেখে আক্রমণ শুরু করেন মমতা। এই ইস্যুতে বিজেপির পোস্টার বয় নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যকে সিপিএমের আইনজীবী নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সমর্থনও যে তাঁর নিশানায়, সেটা স্পষ্ট বুঝিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই রাম-বাম দু’পক্ষকেই কটাক্ষবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেছেন, ‘মানুষখেকো বাঘ দেখেছেন। কিন্তু চাকরিখেকো মানুষ দেখেছেন কি? দেখেছেন চাকরিখেকো বিজেপি পার্টি? দেখেছেন চাকরিখেকো সিপিএম পার্টিকে?’ এই পর্বেই আরও আগ্রাসী কণ্ঠ মমতার। বলেন, ‘যে বা যারা ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল, তাদের ছেড়ে দেব নাকি? কখনওই না! কারও চাকরি এভাবে খাওয়া যায় না। যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, বলতেন... সংশোধন করে নিতাম। কিন্তু ওঁরা (চাকরিহারারা) শ্রম দিয়েছেন, সেই শ্রমের টাকা আপনি ফেরত নেবেন কী করে?’
একলপ্তে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরি হারানোয় পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বেই। সেটাই এখন রাজ্যের সর্বত্র আলোচনার বিষয়বস্তু। সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মমতার কথাতেও। বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের প্রশ্ন, ‘স্কুলগুলিতে পড়াবে কে?’ এরপরই নাম না করে কটাক্ষে বিঁধেছেন মোদিকে। তাঁর কথায়, ‘সেনা স্কুলের দায়িত্ব আরএসএসকে দিয়েছেন। তবে কি এখানেও আরএসএসকেই দায়িত্ব দেবেন?’