ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
আমরোহ এবার বিএসপি ও তাদের গতবারের প্রার্থী, উভয়ের কাছেই ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। ১৯৮০ সাল থেকেই এই আসনে কোনও প্রার্থীই টানা দ্বিতীয়বার জয়ের মুখ দেখেননি। এই ধারা এবার ভাঙবে কি না,সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। হাতির পিঠ থেকে নেমে সংখ্যালঘু প্রভাবিত এই আসনে এবার হাত ধরেছেন বর্তমান সাংসদ কুঁওয়ার দানিশ আলি। অন্যদিকে, আরএলডির সমর্থনে বিজেপি প্রার্থী কানওয়ার সিং তানওয়ার ২০১৪ সালের সাফল্য ফিরে পেতে মরিয়া। মায়াবতীর দল এখানে দানিশের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতে মুজাহিদ হোসেনকে ময়দানে নামিয়েছে।
গাজিয়াবাদে গত দু’বারের সাংসদ জেনারেল ভিকে সিংকে এবার টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গাজিয়াবাদ বিধানসভা আসনের বিধায়ক অতুল গর্গকে। তাঁর হাত ধরেই এই আসন চতুর্থবারের মতো জয়ের স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া শিবির। তবে দলের অন্দরের অসন্তোষে কিছুটা হলেও বিব্রত বিজেপি। ভিকে সিংকে ছেঁটে ফেলা খুব ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি জাঠ সম্প্রদায়। তাদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, নির্বাচনে তারা ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। ফলে চিন্তা বেড়েছে বিজেপির। কারণ এই কেন্দ্রে আড়াই লক্ষ জাঠ ভোটার। কংগ্রেস ফের এই আসনে ভরসা রেখেছে দলের মুখপাত্র ডলি শর্মার উপর। সমাজবাদী পার্টির পুরো সমর্থন, জাঠ, অগ্নিবীর ও কৃষক অসন্তোষের ফসল ঘরে তুলতে এবার মরিয়া ডলি।
দুই চিকিৎসকের লড়াইয়ের মাধে জাতপাতের সমীকরণ মাথায় রেখে বিএসপির প্রার্থী ঘোষণা গৌতমবুদ্ধ নগর আসনের লড়াই আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বিজেপির বর্তমান সাংসদ ডাঃ মহেশ শর্মা তৃতীয়বার জয় নিশ্চিত করতে লড়াইয়ে নেমেছেন। আর দু’বার প্রার্থী বদলে শেষপর্যন্ত ডাঃ মহেন্দ্র নাগরের নাম চূড়ান্ত করেছে সপা। মায়াবতী তাঁর নিজের জেলার এই আসনে প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র সিং সোলাঙ্কিকে ময়দানে নামিয়েছে। তিন দলের প্রার্থীই ভিন্ন ভিন্ন জাতের। মহেশ শর্মা ব্রাহ্মণ, মহেন্দ্র গুর্জর আর সোলাঙ্কি ঠাকুর।
তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত বুলন্দশহরে গত দুটি ভোটেই জয়ের পতাকা উড়িয়েছে বিজেপি। এবার হ্যাটট্রিকের মুখে তাদের প্রার্থী ভোলা সিং। অন্যদিকে, নাগিনার সাংসদ গিরিশ চন্দ্রকে ময়দানে নামিয়ে ভোটের উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসপি। আর কংগ্রেস টিকিট দিয়েছে শিবরাম বাল্মীকিকে। ১৯৯১ সাল থেকে টানা এই আসনে জিতে আসছে বিজেপি। ব্যতিক্রম ছিল শুধু ২০০৯ সালের নির্বাচন।