আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
অসমের যে দু’টি আসন নিয়ে জোর চর্চা চলছে, তার মধ্যে একটি ডিব্রুগড়। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন বিজেপির রামেশ্বর তেলি। কিন্তু এবার তাঁকে এই আসনে টিকিট দেয়নি বিজেপি। অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা ও সর্বভারতীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও বটে। জেতার জন্য সোনওয়ালের তাস নরেন্দ্র মোদির ‘গ্যারান্টি’। তবে ২০০৪ সালে অসম গণ পরিষদের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকেই জিতেছিলেন সোনওয়াল। এবার তাঁকে শক্ত লড়াইয়ের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ। নাগরিকত্ব প্রদান ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করে গোটা দেশে পরিচিত মুখ লুরিন। নিজেরা প্রার্থী না দিয়ে কংগ্রেস লুরিনজ্যোতিকে সমর্থন দিয়েছে। ফলে লড়াই জমজমাট। ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও আপ এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। আপ প্রার্থী না দিলে সোনওয়ালের লড়াই আরও কঠিন হতো বলে অনেকের মত।
লুরিন বলেছেন, ‘গতবার বিজেপি মানুষকে ঠকিয়েছিল। এবার মানুষ ওদের জবাব দেবে।’ পাশাপাশি, এবার অসমে কংগ্রেসের ‘গৌরব’ রক্ষার চ্যালেঞ্জ গগৈয়ের হাতে। জোরহাট কেন্দ্র থেকে এবার প্রার্থী কংগ্রেসের গৌরব গগৈ। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গৌরব সিএএ নিয়ে সংসদে বারবার মোদি সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন। ১৯৭১ ও ১৯৭৭ সালে জোরহাট কেন্দ্র থেকে গৌরবের বাবা তরুণ গগৈ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাবার পুরনো কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে কংগ্রেসের ‘গৌরব’ তুলে ধরতে চান তরুণ প্রার্থী গৌরব। তবে তাঁর লড়াই মোটেও সহজ নয়। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তপনকুমার গগৈ। গতবার তপনবাবু ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। তবে গৌরবের ‘প্লাস ফ্যাক্টর’ হল ২০১৪ ও ২০১৯ সালে তিনি কালিবর থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। অসমে বিজেপির
দাপট বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কংগ্রেসের সংগঠনও শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। শেষ পর্যন্ত গৌরবের হাত ধরে কংগ্রেসের ‘গৌরব’ উজ্জ্বল হয় কি না, সেটাই দেখার।