বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভা আসন। ইতিমধ্যে দু’দফায় মোট ১৩টি কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। এখানে এবার লড়াই শিবসেনা (সিন্ধে শিবির), এনসিপির (অজিত গোষ্ঠী) সঙ্গে ইন্ডিয়া শিবিরের কংগ্রেস, শারদ পাওয়ারের এনসিপি ও শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর মধ্যে। সেটাই বেসুরো করে দিচ্ছে বিজেপির জোটসঙ্গীদেরও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছগন ভুজবল বলেছেন, ‘শিবসেনার মধ্যে ভাঙন ধরানোর পরেই বালসাহেবের প্রতি মানুষের পুরনো আবেগ ফিরে এসেছে। তা থেকেই উদ্ধবের প্রতি মানুষের সহানুভূতি বেড়েছে। এনসিপি ভেঙে যাওয়ার পর শারদ পাওয়ারের প্রতিও একই আবেগ কাজ করছে।’ যদিও পরক্ষণেই ভুজবল দাবি করেন, ‘মানুষের ভরসা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর।’ ছগন নিজে এবার ভোটে লড়ছেন না। অজিত পাওয়ার তাঁকে নাসিক থেকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভুজবলকে রাজি করানো যায়নি।
এই অবস্থানকে অনেকটাই যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে হার স্বীকার করার সঙ্গে তুলনা করছে রাজনৈতিক মহল। সপ্তাহখানেক আগে একই আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল অমরাবতীর বিজেপি প্রার্থী নবনীত রানার গলায়। রাখঢাক না করেই তিনি বলেছিলেন, ‘এখানে আর মোদি ঝড় কোথায়? সবই উধাও!’ পরে তিনি অবশ্য দলের চাপে ঢোঁক গিলতে বাধ্য হন।
তাতে আশঙ্কার মেঘ ঢাকা পড়ছে না। অস্ত্রে শান দিচ্ছেন উদ্ধব-শারদরাও। রবিবার বারামতী কেন্দ্রে মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের হয়ে প্রচারে গিয়ে পাওয়ার বলেন, ‘সংবিধান পরিবর্তনের জন্যই বিজেপি ৪০০’র বেশি আসন পেতে চাইছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেলে ঢুকিয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েছে পদ্ম শিবির।’