একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
কিন্তু এই ধারণাকেই বস্তুত ভয় পাচ্ছে স্বয়ং বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ গত বছরও নভেম্বর মাসে এভাবেই হিন্দিভাষী তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোট হয়। এবং বিজেপি নিশ্চিত ছিল যে পুনরায় তিন রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে তারাই। প্রবল বিস্ময় সৃষ্টি করে তিন রাজ্যেই বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ে। এবং অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ী হয়ে ওই তিন রাজ্যে সরকারে বসেছে কংগ্রেস। সুতরাং সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হবে কিনা এই বছর সেই আশঙ্কাতেই বিজেপি কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রে তিনি ইতিমধ্যেই সভা সমাবেশ শুরু করেছেন।
অন্যদিকে কংগ্রেসের শিবির এখনও ছন্নছাড়া। যদিও আজ ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার পর মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান মুখ শারদ পাওয়ার বলেছেন, আর একটা পুলওয়ামা ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক জাতীয় ঘটনা না ঘটলে মহারাষ্ট্রে বিজেপির এবার ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব। তবে রাজনৈতিকভাবে যতই এগিয়ে থাক, বিজেপি বিশেষত নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের কাছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, দিল্লিতে জয় অবশ্যই প্রয়োজন। এই রাজ্যগুলিকে ধাক্কা খেলে সবথেকে বিপজ্জনক বার্তা হল হিন্দিভাষী ভারত বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করছে। ইতিমধ্যেই তিন রাজ্য হাতছাড়া। তাই এই রাজ্যগুলি পুনর্দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। আসন্ন নির্বাচনে স্বাভাবিকভাবে বিজেপির প্রচারের অস্ত্র হতে চলেছে কাশ্মীরের ৩৭০ নং ধারা অবলুপ্ত করা, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বেআইনি ঘোষণা, এনআরসি সম্ভব করা ইত্যাদি ইস্যু। এই রাজ্যগুলিকে জয়ী হলে বিজেপি আগামীদিনে প্রচার করতে সক্ষম হবে সম্প্রতি গ্রহণ করা প্রতিটি সিদ্ধান্তই জনগণ সমর্থন করেছে।