পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
কেবল প্রিয়াঙ্কাই নন, রাহুল গান্ধী, অভিষেক মনু সিংভি, দীনেশ ত্রিবেদির মতো নেতারাও প্রতিবাদে সরব। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে এক শ্রেণীর বার্তা, দেশাত্মবোধক গানের নামে ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস এমপি অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেছেন, এ তো একেবারে নাৎজি ডিজাইন। এভাবে একটা জমি জয় করা যেতে পারে, কিন্তু মানুষের মন নয়।
উপরন্তু গতকাল শ্রীনগর যাওয়া-আসার বিমানে কাশ্মীরী গৃহবধূ, ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে নিজেদের কথা উগরে দিলেন, তা জেনে বিরোধী নেতারা স্তব্ধ। প্রশাসনের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ, জীবন যন্ত্রণা, ৩৭০ বিলোপের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ওই কাশ্মীরা। একইসঙ্গে তাঁরা এও জানিয়ে দেন, আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না। রাহুল প্রশ্ন করুন, আমাদের? উত্তরে তাঁরা জানান, কাউকে না। রাজনৈতিক নেতা আর প্রশাসনের এই কর্মকাণ্ডের শিকার কেন হবে কাশ্মীরের মানুষ? প্রশ্ন করেন তাঁরা। বিমানে যার সাক্ষী ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, দীনেশ ত্রিবেদি, মনোজ ঝার মতো নেতারা।
অবস্থার এই উপলদ্ধিতেই রাহুল আজ বলেছেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক নয়। দেশবাসীর কাছে সত্য আড়াল করছে সরকার। গত ২০ দিন ধরে কাশ্মীরের মানুষের স্বাধীনতা এবং সাধারণ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দমবন্ধ করা অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে দীনেশ ত্রিবেদি জানান, নিজভূমে যেন পরবাসী হয়ে রয়েছেন কাশ্মীরীরা। প্রশাসনের প্রচার অনুযায়ী পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক, তখন আমাদের কেন ঢুকতে দেওয়া হল না? আমরা বিরোধীরা গোলমাল পাকাতে গিয়েছিলাম বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। কেন আমাদের শান্তির দূত হিসেবে দেখছে না প্রশাসন? দীনেশ ত্রিবেদি বলেন, শ্রীনগরের পরিস্থিতি এবং পরে বিমানে যা দেখলাম, তাতে স্পষ্ট, ফোর্সের বন্দুক আর প্রশাসনিক ডান্ডা দেখিয়ে নয়, স্রেফ ভালোবাসা দিয়েই কাশ্মীরীদের মন জয় সম্ভব। ভবিষ্যতেও বিরোধী নেতারা কাশ্মীরীদের স্বার্থে একজোট হয়ে আওয়াজ তুলবে বলে ঠিক হয়েছে।