শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ক্রিসিলের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তন কৃষিকাজে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলেছে। আনাজপাতি উৎপাদন কমেছে খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে। এই সমস্যাগুলিতে রাশ টানতে আনাজপাতি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের সংরক্ষণ বা আমদানির চেষ্টা ভারতের মতো বড় দেশের চাহিদা মেটাতে সেই উদ্যোগ যে আদৌ তেমন কর্যকর নয়, তা বুঝিয়েছে ক্রিসিল।
তাদের বক্তব্য, হিমঘরে বিপুল পরিমাণ আনাজপাতি সংরক্ষণের পরিকাঠামো এদেশে নেই। ফলে সময়মতো সেসব বাইরে এনে জোগানে ভারসাম্য রাখার সুযোগও অনুপস্থিত। তাপপ্রবাহ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের সমস্যার পাশাপাশি, ভারতের আবহাওয়া কৃষিকাজে পোকামাকড়ের সমস্যাও বৃদ্ধি করে। এবারও সেসব সমস্যা জোরালো হয়েছে। ক্রিসিল বলছে, গ্রীষ্মে জিনিসপত্রে দাম বাড়ে, আবার শীতে নতুন আনাজ বাজারে এলে দাম কমে যায়। কিন্তু শেষ শীতকাল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই সুরাহা দেশবাসীকে দেয়নি। খাদ্যদ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির ৩০ শতাংশ দখলে রাখে আনাজপাতির দর। তাই তার প্রভাবও সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধিতে অনেকটাই পড়ে।
এবার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্বাভাবিকের তুলনায় বর্ষায় বেশি বৃষ্টি হবে। কিন্তু তা হতে জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ততদিন চড়া থাকবে আনাজের দর। তারপরও কি কমবে? প্রশ্ন জিইয়ে রেখে ক্রিসিল বলছে, বৃষ্টি বাড়লেও, তা হবে বিক্ষিপ্তভাবে এবং অঞ্চলভিত্তিক। বর্ষায় সামঞ্জস্য না-থাকলে, তা যে কৃষিকাজে ব্যাঘাত ঘটায়, তা মোটেই অজানা নয়।