Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! সুরাতের মতো অত্যন্ত নিরাপদ আসনেও ১৬.৫৬ লক্ষ ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ দেওয়া হল না। পথের সমস্ত কাঁটা সরানো হল ভোটগ্রহণের অনেক আগেই। কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলের প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন। এ কি কোনও স্বাভাবিক ঘটনা? অথচ, ভারতের সাধারণ নির্বাচনে ব্যয়ের বহর দেখে ধনী দেশগুলিও চমকে যায়। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের হিসেব, স্বাধীন ভারত ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে খরচ করেছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। অঙ্কটা বাড়তে বাড়তে ২০১৯-এ ছুঁয়েছিল ৫০ হাজার কোটি টাকা। ভোটের ব্যয়বৃদ্ধির প্রবণতাই বলে দিচ্ছে, এবার গতবারের দ্বিগুণ বা ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করতে চলেছি আমরা! উল্লেখ্য, এবার সেন্ট্রাল ফোর্স নেমেছে প্রায় ৩.৪০ লক্ষ! জনগণের এত টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ করার পরেও সুরাতের মতো একটি আসনের বিরোধী প্রার্থীদের আশ্বস্ত করা গেল না কেন? কেন তবে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এত বজ্রআঁটুনি, দিকে দিকে আধাসেনার বুটের দাপাদাপি দু’মাস ধরে? এই বহ্বারম্ভ কি দিনের শেষে লঘুক্রিয়া প্রসবের নিমিত্ত? 
দেশজুড়ে মোট সাতদফায় সাধারণ নির্বাচন চলছে। প্রথম দু’দফায় অন্তত প্রার্থীদের নিয়ে কোনও ঝঞ্ঝাট হয়নি। তৃতীয় দফার ভোট হল গতকাল, ৭ মে। ওইদিন ৯৪টি আসনের জন্য কয়েক কোটি মানুষের ভোটের লাইনে দাঁড়াবার কথা ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মোদি-শাহের ২৬ আসনের গুজরাত। গত নির্বাচনে সেখানকার সবক’টি আসনই দখল করেন মোদিরা। তার মধ্যে সুরাতে বিজেপির পক্ষে প্রদত্ত ভোট (৭.৯৬ লক্ষ) এবং জয়ের মার্জিন (৫.৪৮ লক্ষ) ছিল চমকপ্রদ। সুরাত আসনটি বহুকাল যাবৎ কংগ্রেসের হাতছাড়া। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই লোকসভায় সুরাতের প্রতিনিধিত্ব করেন পাঁচবার। প্রেস্টিজিয়াস আসনটি বিজেপির দখলে ১৯৮৯ থেকে। সব মিলিয়ে গুজরাতের ভিতরে অন্তত সুরাত আসনটি বিজেপির জন্য শুধু ‘নিরাপদ’ নয়, ‘দুর্ভেদ্য দুর্গ’। তা সত্ত্বেও সুরাতের মানুষকে এবার ভোটের লাইনে দাঁড়াতেই দেওয়া হল না। ভোটগ্রহণের অনেক আগেই আসনটি চলে গেল বিজেপির ঝুলিতে! স্কুটিনিতে বাতিল হয় কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন। ‘হাত’-এর ‘ডামি’ প্রার্থীর লড়াইয়ের সুযোগও খারিজ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। বিজেপির বিরুদ্ধে বাকি ছিলেন বিএসপি এবং নির্দল-সহ আটজন। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, মনোনয়ন ‘প্রত্যাহার’ করে নেন তাঁরাও! অমনি বিজেপির মুকেশ দালালকেই ‘বিজয়ী’ ঘোষণা করা হয়। তাঁকে দ্রুত অভিনন্দন জানান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি। এমনকী, ‘প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম পদ্মটি সুরাতই তুলে দিল’ জানিয়ে আহ্লাদ প্রকাশ করেন দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব। সুরাতের ভোট-পরম্পরা বলে যে, অন্তত সুরাত নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কোনও দুশ্চিন্তা ছিল না। তবুও যে কায়দায় মুকেশ দালালের ‘জয়’ নিশ্চিত করা হল তা এক বেনজির দৃষ্টান্ত। 
কিন্তু, ‘পার্টি উইথ আ ডিফারেন্স’কে এভাবে জিততে হল কেন? তাতে মোদির সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতো একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠানেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হল না কি? কোনও কোনও রাজ্যে পঞ্চায়েত/পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছু আসন জয়ের দৃষ্টান্ত নিশ্চয় আছে। সেক্ষেত্রে আসন-প্রতি ভোটার সংখ্যা মাত্র কয়েক হাজার।  তাই বলে লোকসভা আসনেও খাপ পঞ্চায়েতি কারবার, যেখানে ভোটার সংখ্যা গড়পড়তায় ১৫-২০ লক্ষ [ভোটার সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার (লাক্ষাদ্বীপ) এবং সর্বাধিক সাড়ে ৩১ লক্ষ (অন্ধ্রপ্রদেশের মালকাজগিরি)]! 
গণতন্ত্রকে কলা দেখানোর কারবারে অবশ্য এখানেই দাঁড়ি পড়েনি। সুরাতের রেশ মিটতে না মিটতেই সংবাদ শিরোনাম দখল করেছে ইন্দোর। সেখানে ভোট চতুর্থ দফায়। তার আগেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাল বিজেপি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয়কান্তি বামকে ছিনিয়ে নিল তারা। এমনকী, অন্য একাধিক বিরোধী প্রার্থীরও মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেদিন কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে 
গাড়িতে বসে, নিজের ছবি এক্স-এ পোস্ট করে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় লেখেন, ‘ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় বাম বিজেপিতে স্বাগত!’ জেলাশাসক জানান, কংগ্রেসসহ তিন বিরোধী প্রার্থী ‘নিয়ম মেনেই’ তাঁদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেছেন। উল্লেখ্য, এক বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়ন তুলে নেন অক্ষয়। অথচ, স্কুটিনির দিন তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে অক্ষয়েরই মনোনয়ন খারিজের দাবি তুলেছিল এই বিজেপি। কিন্তু সেই কৌশল ফেল করায় অবশেষে অন্য ছকে খেলে বিজেপি প্রার্থীর যাত্রাপথ সম্পূর্ণ নিষ্কণ্টক করেছে গেরুয়া বাহিনী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূর, সরাসরি পদ্ম-এ ছাপেরই গ্যারান্টি নেওয়া হল 
হাত-এর প্রার্থীর কাছ থেকে। অর্থাৎ আমদানি 
হল ‘অপারেশন লোটাস’-এর নিউ এডিশন! এতদিন জারি ছিল জনপ্রতিনিধিদের অনৈতিক দলত্যাগের ব্যবসা। এবার বিরোধী দলের প্রতীকে জয়ের স্বাদ গ্রহণের আগেই ‘বধ’ করা হচ্ছে 
কাউকে কাউকে। ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ নির্বাচন কমিশন এর দায় নেবে না কেন? 
লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশসহ মন্তব্য করেন, ‘এটা অনৈতিক, হওয়া উচিত ছিল না। ইন্দোরে বিজেপিকে কেউ হারাতে পারবে না, এমন কথা দেওয়ালে লেখা হয়ে যাওয়ার পর এই কাণ্ড ঘটাবার কোনও প্রয়োজন ছিল না।’ উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী থেকে মহাজন জিতেছেন টানা আটবার। আর সেখানেই ৮ লক্ষ মার্জিনে ইন্দোর-জয়ের হুঙ্কার দিয়ে এ কী কাণ্ড ঘটাল বিজেপি! এতে ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছে—ঘরে বাইরে সর্বত্র। 
 প্রমাণিত সত্য এই যে, ভোটে জিততে ভোটারদের মন জয় করতে হয়। আমাদের মতো বিপুল জনসংখ্যার এবং গরিব দেশের মানুষের মন জেতার রাস্তা খুব সোজা। তাদের চাহিদা দুটি—পেট ভরা খাবার এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই। তার জন্য জরুরি হল সব পরিবারে অন্তত একজন রোজগেরে মানুষ। অতএব, পরিবার পিছু কমপক্ষে একজনের কাজ চাই। নরেন্দ্র মোদি সেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন। ২০১৪-১৯ টার্মে কথার খেলাপ করার পরেও মানুষ তাঁকে সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু উপর্যুপরি দুটি সুযোগের অপব্যবহার করলেন তিনি। কোটি কোটি মানুষকে খুশি করার পরিবর্তে, তাঁর সরকার আক্ষরিক অর্থেই লাগাতার জ্বালিয়ে মারছে। একবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করাল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বদলের জন্য। নতুন ২০০০ টাকার নোট বদলের জন্য দ্বিতীয়বারের লাইন জারি আছে এখনও। এছাড়া আধার-যন্ত্রণা তো লেগেই আছে। সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ক্রেডিটের গপ্পো মানুষ ভুলতেই চায়। ব্যাঙ্ক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে কেওয়াইসি আপডেটের ফরমানের বিরাম নেই! তিতিবিরক্ত মানুষের এখন একটাই চাহিদা, ‘ভিক্ষের দরকার নেই বাপু তোমার কুকুর সামলাও!’ বছরে ২ কোটি নতুন চাকরি দেওয়া দূর, ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি (মনরেগা) প্রকল্পটাই বরবাদ করে দেওয়া হয়েছে। মনরেগা নিয়ে বাংলার গরিব মানুষের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা এককথায় চার্চিল-সুলভ নিষ্ঠুরতা। বঙ্গদেশে পঞ্চাশের মন্বন্তরের ভিলেন ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আর স্বাধীন ভারতে লক্ষ লক্ষ গরিব বাঙালির কাজ ও মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে মোদি সরকার। মোদি হলেন সেই রাষ্ট্রনায়ক যিনি বাঙালির ভিড় দেখলেই বিবেকানন্দ আর রবীন্দ্রনাথের বাণী আওড়ান এবং উসকে দেন নেহরু কর্তৃক নেতাজিকে উপেক্ষার স্মৃতি। এই সরকার ভোটের আঁচ পেলেই হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুদের লড়িয়ে দেয় কোনও একটি সম্প্রদায় কিংবা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। 
কিন্তু এবার যেন অতিচালাকের গলায় দড়ি দেখতে চলেছে বাংলাসহ গোটা দেশ। বিজেপির ধুরন্ধরা বুঝতে পারেননি নিশ্চয়, সিএএ নামক খুড়োর কল অসমে এনআরসি কার্যকরের বিভীষিকাময় স্মৃতি ফেরাবে; তাতে সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে যাবেন পশ্চিমবঙ্গে নাগিরকত্ব পাওয়া হিন্দু শরণার্থীরাই! মোদি সরকার কী বস্তু, পরিযায়ী শ্রমিকরা চিনে নিয়েছেন করোনা-দিনে। অসংগঠিত শ্রমিকদের মন যে এই সরকারের মিষ্টি কথায় গলেনি, তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর পেনশন প্রকল্পের (পিএমএসওয়াইএম) চূড়ান্ত ব্যর্থতা। ইপিএফ পেনশনাররা রীতিমতো নিজেদের প্রতারিত ভেবে নিয়েছেন। তার জন্য বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা দুষছেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই। মোদি একাধিকবার কথা দিয়েও তা সজ্ঞানে খেলাপ করেছেন। ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ যে পার্টির ভোটের ট্যাগলাইন, প্রবীণরা বাধ্য হয়েছেন তারই জুমলার বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ করতে। তাঁরা এই মর্মে লিফলেট বিলি করছেন দেশজুড়ে রাস্তায় নেমে। এই দৃশ্য অভূতপূর্ব! মোদি যাঁদের ‘অন্নদাতা’ বলেছিলেন, সেই কৃষকদের বিদ্রোহের কাহিনি সারা দুনিয়ার চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিলকিস বানো থেকে মণিপুর এবং আইনসভায় মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের নামে ধড়িবাজি মিলিয়ে নারীশক্তিও আজ শাসকের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে পড়েছে। 
তাহলে ‘চুপচাপ পদ্মে ছাপ’টা দেবেন কারা? কোনও সংশয় নেই, এই প্রশ্নই পেড়ে ফেলছে মোদি-শাহদের। প্রতিটি জনসভায় কী মোদি, কী শাহ, কী যোগী, কী নাড্ডা—কোনও মুরুব্বিই আর আক্রমণের পজিশনে নেই—সবাই ব্যস্ত কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অভিযুক্তের মতোই আত্মপক্ষ সমর্থনে! তাঁদের শরীরী ভাষা এবং মুখের কথা থেকে হঠাৎই উধাও যাবতীয় কনফিডেন্স! তাই সদর দরজা হাটআলগা থাকতেও, খিড়কি দিয়ে গৃহপ্রবেশের খেলায় সুরাত, ইন্দোরে দাঁড়ি টানায় সায় নেই গেরুয়া শিবিরের। খেলাটা ইতিমধ্যেই টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গান্ধীনগর অব্দি, যেখানে প্রার্থী স্বয়ং অমিত শাহ। না ভুল পড়েননি, তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ‘সেনাপতি’। তাঁর গান্ধীনগরেও প্রদর্শিত হল বিরোধী প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর জাদু!
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
একনজরে
পর্দার ‘মুন্নাভাই’ মুরলি প্রসাদকে পাশ করাতে গিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষক রুস্তম পারভি। রিয়েল লাইফে তেমনই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থীর দাদা। ঘটনাস্থল রাজস্থানের বারমার। ...

২ মে ২০১৮। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বের লড়াই। মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুরন্ত লড়াই মেলে ধরে বায়ার্ন মিউনিখ। ...

রানিগঞ্জের কয়লাখনি অঞ্চলে ধস দুর্গতদের অবিলম্বে পুনর্বাসন চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ আসানসোলে দলের নেতৃত্বকে নির্দেশও দিলেন তিনি। পাশাপাশি আঙুল তুললেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও।  ...

গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১০ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:27:54 PM

আইপিএল: ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেক শর্মার, হায়দরাবাদ ১২০/০ (৬.৩ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:15:03 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি ট্রাভিস হেডের, হায়দরাবাদ ৭৯/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:04:52 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল লখনউ

09:26:56 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি আয়ূষ বাদোনির, লখনউ ১৪৬/৪ (১৯ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

09:19:23 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট ক্রুণাল পান্ডিয়া, লখনউ ৬৬/৪ (১১.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:43:15 PM