শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এই আসনের সংখ্যালঘু প্রধান বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে সুজাপুর অন্যতম। এখানকার বামনগ্রাম-মোসমপুরের অধিকাংশ বুথেই ছিল না বিজেপির এজেন্ট। এমনকী, তাদের নির্বাচনী বুথ কার্যালয়ও দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্ট এলাকার সবক’টি বুথেই ছিল তৃণমূলের এজেন্ট। দিনভর তাদের নির্বাচনী কার্যালয় ছিল জমজমাট। তারা ঝান্ডা লাগানো টোটোয় করে ভোটারদের বুথে নিয়ে যায়। ভোটারদের ঠান্ডা পানীয় পান করায়। এখানকার কয়েকটি বুথে এজেন্ট দিতে না পারলেও প্রতিটি মোড়ের জটলায় ছিল কংগ্রেসের প্রচার। বামনগ্রামে কয়েকজন মহিলা বলেন, দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন। মহিলাদের জন্য অনেক কিছু করছেন। তাই দিদির গুণ গাইছি। কয়েকজন আবার বলেন, এটা দিল্লির ভোট। তাই বরকত গনিখানের পরিবারের পাশে আছি।
জালালপুরের ৭০, ৭১, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর বুথেও মেলেনি বিজেপির এজেন্ট। কালিয়াচক-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও দেখা গিয়েছে একই রকম দৃশ্য। বিজেপির সুজাপুরের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক চন্দন ঘোষ বলেন, এখানকার অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দিলেও শাসক দল ভয় দেখানোয় সংখ্যালঘু প্রধান গ্রামে তা সম্ভব হয়নি। তৃণমূলের কালিয়াচক-১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ সাজিউল শেখ বলেন, বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। সারা বছর ওরা মানুষের সঙ্গে থাকে না। তাই ভোটের ময়দানে ওদের উপস্থিতিও নেই। হার বুঝতে পেরে অপপ্রচার করছে।
সংখ্যালঘু প্রধান মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বাঙিটোলা, রথবাড়ি, গঙ্গাপ্রসাদ প্রভৃতি গ্রামেও দিনভর সক্রিয় ছিল তৃণমূল। প্রতিটি বুথে তাদের এজেন্ট ছিল। এছাড়া, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে তাদের কর্মীরা ছিলেন। যাঁরা বিভিন্নভাবে ভোটারদের সহযোগিতা করছিলেন। তাদের বুথ কার্যালয়ও ছিল জমজমাট। এখানে তারা চানাচুর-মুড়ি ও লাল চা খাওয়ানো হয়। এখানকার কিছু এলাকায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের দেখা গেলেও বিজেপিকে কার্যত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বৈষ্ণবনগরেও ছিল তৃণমূলের আধিপত্য। আমবাগানের পাশেই চরিঅনন্তপুর গ্রামের একটি বুথ। বাগানে কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের জটলা। এখানে উভয় দলই টোটোয় ঝান্ডা লাগিয়ে ভোটারদের বুথে নিয়ে যায়। ভোট দানের পর দুই বিড়ি শ্রমিক মহিলা বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গেই আছি। পাশের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম শশানীর ৮১ নম্বর বুথ চত্বরের ছবিটাই ছিল একই। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের রহিম মিঞা বলেন, লড়াইয়েই নেই বিজেপি।
গঙ্গা ভাঙন কবলিত ভীমাগ্রামের বুথ সংলগ্ন চায়ের দোকানে তৃণমূলের নির্বাচনী বুথ কার্যালয়। সেখানে বিলি করা হয় ওআরএস। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজীব শেখ বলেন, গরমে তেষ্টা মেটাতেই ওআরএস দেওয়া হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে তৃণমূল ও কংগ্রেস উভয়ই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মহিলাদের ভোটেই এই কেন্দ্রে জয়ী হবে তৃণমূল। পাল্টা জেলা কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, বরকতদার আবেগে মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। তাই এই কেন্দ্র আমাদের দখলেই থাকবে।
কালিয়াচকে ভোটের লাইন। - নিজস্ব চিত্র।